শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে চিটাগং কিংস

স্পোর্টস ডেস্ক
আপডেট : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে চিটাগং কিংস

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ ওভারের জয়ের জন্য চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কিংস ভক্তদের স্বপ্ন দেখান আরাফাত সানি। তৃতীয় বলে আলিস আল ইসলাম রিয়ার্ড হয়ে ওঠে গেলে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল। তবে পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে আবারো মাঠে নামেন আলিস। তখন সমীকরণ দাঁড়ায় এক বলে চার রানে। শেষ বলে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন আলিস।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ২ উইকেটে জিতেছে চিটাগাং কিংস। আগে ব্যাটিং পেয়ে হেটমায়ারের ৩৩ বলে ৬৩ রানে ভর করে ১৬৩ করে খুলনা। খাওয়াজা নাফের ফিফটির পর সানি-আলিসের ঝলকে ফাইনালে চলে গেল তারা। বিপিএলে এটা চিটাগাং কিংসের দ্বিতীয় ফাইনাল। এর আগে ২০১৩ সালে দ্বিতীয় আসরে ফাইনাল খেলেছিলো তারা।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চিটাগং। ৪ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছেন পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। তবে হুসাইন তালাতকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন খাজা নাফি।

দুজনের ব্যাটের ভর করে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে চিটাগং। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন নাফি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তালাত। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ২৫ বলে ৪০ রান করে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার ।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম। ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন নাফি। ১৬তম ওভারে মুশফিকের হাতে বল তুলে দেন মিরাজ। ওভারের প্রথম বলেই নাফিকে বোল্ড করে খুলনা খেলায় ফেরান এই ডান হাতি পেসার।

এরপর খালেদ (০) ও মিথুন ৭ রান করে আউট হলে লড়াই করতে থাকেন আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের। প্রথম বলে বাউন্ডারি হাকান আরাফাত সানি। পরের বলে ২ রান নেন এই স্পিনার।

তৃতীয় বলে এক রান নিলেও চা পিছলে পড়ে যান অপর প্রান্ত থাকা আলিস। ব্যথা পেয়ে মাঠও ছাড়তে হয় তাকে। বদলি হিসেবে নেমেই চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন শরিফুল, কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হন তিনি। এতে শেষ বলে ৪ রান দরকার ছিল। শরিফুলের বিদায়ের পর আবারও পিচে আসেন আলিস। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে ফাইনালের টিকিট উপহার দেন এই টাইগার ব্যাটার।

খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও মুশফিক আহমেদ। এ ছাড়াও নাসুম আহমেদ নেন দুটি উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে আগে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোহাম্মদ নাইম শেখ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ১১ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান মিরাজ ও অ্যালেক্স রোস। ৬ বল খেলা রস শূন্য হাতে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। আর মিরাজ করেন ২ রান।

স্কোরবোর্ডে ৪২ রানের মধ্যে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় দলটি। নাঈম শেখ ১৯ রান এবং আফিফ হোসেন ৮ রান করে ফিরে যান। পরে হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও শিমরন হেটমায়ার। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫০ বলে ৭৩ রান যোগ করেন দুজনে।

আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ না পেলেও আজ দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার কাজটা করেন দারুণভাবে। বিনুরাকে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন হেটমায়ের। এর মাঝে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে উইকেট হারান মাহিদুল অংকন।

ফিফটির পর যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন হেটমায়ের। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে জেসন হোল্ডার দেখছিলেন হেটমায়ের শো। প্রথম ৩ ওভারে কেবল ৬ রান খরচা করা চিটাগং কিংসের পেসার বিনুরা ফার্নান্দো নিজের শেষ ওভার করতে শিমরন হেটমায়েরের ঝড়ের সামনে রান দেন ২১।

তবে শেষ ডেলিভারিতে হেটমায়েরকে ক্যাচ বানিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পান বিনুরা। ৩৩ বলে ৬৩ রান নিয়ে শিমরন হেটমায়ের যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন খুলনার রান তখন ১৯ ওভারে ১৪৬। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস।

চিটাগং কিংসের হয়ে সর্ব্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন বিনুরা ফার্নাদো। এ ছাড়াও আলিস ইসলাম, আরাফাত সানি, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট তুলে নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া