নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি ত্যাগ করা ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির পর এই রায় দেয় ইসি। আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপস্থিত আছেন অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব।
শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির। তার এই আবেদন নামঞ্জুর করল ইসি। এতে করে ঝালকাঠি-১ আসনের নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমরের নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
এর আগে, প্রার্থিতার বিষয়ে রায় নিতে ইসিতে আসেন ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন তিনি।
গত ৯ ডিসেম্বর শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির। শাহজাহান ওমর হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল ইসি।
নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি শাহজাহান ওমর বলেন, এই ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল আমার জানাশোনা লোক। মিথ্যা হলফনামা দেওয়ার অভ্যাস আমার নেই। তারা বলেছেন সেটা মিথ্যা কথা। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।
তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে নির্বাচন করে আসছি, ইনশাআল্লাহ আবার নির্বাচন করব। হাবিবুল আউয়াল আমার জানাশোনা। এই সিইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমি আশা করি।
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করতে যদি কেউ জোর জবরদস্তি করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তারা সেটি দেখবে। কেউ যদি গায়ের জোর দেখায়, বল প্রয়োগ করে, সেটা নিয়ে আমার কোনো শঙ্কা নেই। এটা প্রশাসনের বিষয়।
নির্বাচনী প্রচারণা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধির ভেতরে যতটুকু সম্ভব আমরা করব। কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।
ডামি প্রার্থীরা ভয়ে আছে, এমন নানা অভিযোগ গণমাধ্যমে আসছে— এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে শাহজাহান ওমর বলেন, এটা হতেই পারে না। কেন নির্বাচন করতে পারবে না। আমি তাদের স্যালুট করি। যেকোনো নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আগে আমার প্রতীক ধানের শীষ ছিল, এবার নৌকা নিয়ে নির্বাচন করব।
তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।