রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

শাহজাদপুরে নৌকার হাল ধরতে চান নজরুল ইসলাম

শামছুর রহমান শিশির, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
শাহজাদপুরে নৌকার হাল ধরতে চান নজরুল ইসলাম

আসন্ন শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে শাহজাদপুর পৌরসভার দুইবার নির্বাচিত স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাবেক মেয়র মো. নজরুল ইসলাম নৌকার হাল ধরতে চান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ১ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের টানা ২ যুগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, আ.লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা।

মো. নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ড থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সমর্থন আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে শাহজাদপুর পৌরসভা গঠিত হবার পর প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বর্তমান এমপি ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আলহাজ¦ হাসিবুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন ও ২০১১ সালে চতুর্থ সাধারণ নির্বাচনে মো. নজরুল ইসলাম বিপুল ভোটে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

নজরুল ইসলাম

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়ির বকুলতলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মরহুম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের জনসভায় ১০ সহস্রাধিক শ্রমিক নেতা ও সমর্থক নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন আপোষহীন শ্রমিক নেতা মো. নজরুল ইসলাম।

এরপর শাহজাদপুর উপজেলা আ.লীগের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে তার নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ ও অগোছালো উপজেলা আ.লীগকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করে তোলেন। এ সময় নজরুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে প্রধান আসামী করে ১৯ টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা দেয় বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ।

এসব মামলায় উপজেলা আ.লীগের ৪০/৫০ জন নেতাকর্মীকেও আসামী করা হলে নজরুল ইসলাম ওইসব অসহায় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় যান। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস নিজস্ব নেতৃত্বে ও অর্থ ব্যয় করে নেতাকর্মীদের মামলা থেকে রক্ষা করে শাহজাদপুর ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। উপজেলা আ.লীগের ভীতকে অতীতের তুলনায় বহুগুণে শক্তিশালী করে তোলেন।

আরও পড়ুন : শাহজাদপুরে বন্যার্তদের মাঝে মিল্কভিটার ভাইস চেয়ারম্যানের ত্রাণ বিতরণ

শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত আ.লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম পলাশ, নিজাম উদ্দিন, ইউনুস আলী ও শিমুলসহ বেশ কয়েকজন আ.লীগ নেতাকে হাসপাতালে খাবার দিতে গিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন নজরুল ইসলামের বড় ছেলে রাসেল। ছেলে হারানোর শোকে সইতে না পেরে এর ৩৭ দিন পরে নজরুল ইসলামের সহধর্মীনি তহুরা বেগম মারা যান। সেই সাথে মারা যায় ৩ মাস বয়সী মাতৃহারা তাদের এক শিশুকন্যা। পরিবারের ৩ সদস্যকে হারালেও নজরুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের মতোই বুকে টেনে নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের।

জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে শাহজাদপুর পৌরসভা গঠিত হবার পর এ পর্যন্ত ৫ টি সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে প্রথম শ্রেণির শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। তবে নির্বাচনী দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও মুখে মুখে দিন গুণতে শুরু করেছেন পৌরবাসী।

সেইসাথে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সাম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন।

এসব বিষয়ে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, দুইবার নির্বাচিত সাবেক সফল মেয়র, উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পৌর এলাকার উন্নয়নে ইউজিআইআইপি প্রকল্প আনতে সক্ষম হই। যার ১ম ফেজে প্রায় ১৯ কোটি ও ২য় ফেজে প্রায় ৯০ কোটি টাকা টাকা বরাদ্দ পায় পৌরসভা।

আসন্ন পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয় সুনিশ্চিত করে আধুনিক পৌরসভা বিনির্মাণে, পৌরবাসীর কল্যাণে ও সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আমৃত্যু কাজ করে যাবো। এজন্য সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া