নিজস্ব প্রতিবেদক :
শপথ নিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দুই বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞার সঞ্চালনায় শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে, সোমবার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫(১) অনুযায়ী তাদেরকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান
১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণকারী বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের কন্যা হিসেবে পরিচিত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বিভিন্ন আলোচিত রায়ে সুনাম অর্জন করেছেন, যেমন আজিমপুর কবরস্থান রক্ষার রায়, ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য দ্রুত মামলা নেওয়ার নীতিমালা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা, শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের রায় ইত্যাদি।