লাশের হাতে লেখা ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলা না’। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম সোহেল মিয়া (৩৫)। সোমবার (০৩ মে) বিকালে উপজেলার তারুন্দিায়া ইউনিয়নের সরতাজবহেরা বাজারে ওই যুবকের নিজ দোকান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবক ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া যুবকের লাশের হাতের তালুতে কলমের কালিতে লেখা ছিল ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলা না। তুই আমারে শেষ করে দিলে।’ লাশের আর কব্জির ওপরের অংশে লেখা- ‘কবিতা তুই আমারে বাঁচতে দিলে না।’
স্থানীয়দের ধারণা প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে যুবক আত্মহনন করতে পারে। তবে মৃত্যুর কারণ ও হাতে লেখা কবিতার রহস্য উদঘাটন করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সরতাজবহেরা বাজারে সোহেল মিয়ার কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। সোমবার দুপুরে সোহেলের ছোট ভাই দোকানে যান। ওই সময় দোকানের সামনের অংশ খোলা থাকলেও বড় ভাইকে দেখতে না পেয়ে সে দোকানের পেছনে গিয়ে দেখতে পান ভাই আড়ার সাথে ঝুলছে।
পরে জুয়েলের ডাক-চিৎকার শোনে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দিলে বিকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সোহেল অন্তত ১০ বছর আগে বিয়ে করেন আরিফা আক্তারকে। রিদি নামে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে সোহেলের।
নিহতের স্ত্রী আরিফা আক্তার বলেন, তার সঙ্গে তার স্বামীর ভালো সম্পর্কই ছিলো। কবিতা নামে কোনো নারীর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশের হাতে কবিতা নামে এক নারীর কথা লেখা রয়েছে। মৃত্যুর কারণ ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।