স্পোর্টস ডেস্ক :
তাকে ধরা হয় লেগস্পিনার। কিন্তু তরুণ রিশাদ হোসেন যে নিচের দিকে নেমে ব্যাট হাতেও অবলীলায় ‘ইয়া বড় বড়’ ছক্কা হাঁকাতে পারেন, শ্রীলঙ্কার সাথে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজেই তার প্রমাণ মিলেছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়েও এক ম্যাচে ৭ ছক্কা হাঁকানোর পর ওয়ানডেতে ১৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস বেরিয়ে আসে রিশাদের ব্যাট থেকে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রিমিয়ার ক্রিকেট সুপার লিগে ফের ঝলক দেখালেন রিশাদ। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ব্যাট ও বল হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠে রিশাদ যেন জানিয়ে দিলেন, একজন অলরাউন্ডার হওয়ার সব গুণই আছে আমার মধ্যে। লো স্কোরিং ম্যাচের রিশাদের একার চৌকশ নৈপুণ্যে ১৩ রানের জয় পেয়েছে শাইনপুকুর।
শুরুতে ব্যাট করে স্রেফ ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে গাজীপুরও।
টস জিত আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শাইনপুকুর অধিনায়ক আকবর আলি। তবে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেনি দলটির ব্যাটাররা। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। ৬ চার, ১ ছয়ে ৪২ রানও করেন। তবে পরের ব্যাটাররা রানে গতি সচল রাখতে পারেননি।
শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর। ৩৪.৫ ওভারে সব উইকেট হারানোর আগে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৩৮ রান।
গাজীর আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও হাবিব মেহেদী তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া জীবন দুটি এবং রুয়েল মিয়া, শেখ পারভেজ জীবন নেন একটি করে উইকেট।
১৩৯ রানের লক্ষ্যকে মামুলি বলে দেয়াই যায়। কিন্তু সে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েই নাভিশ্বাস ছুটল গাজী গ্রুপের। সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাবিবুর রহমানের, সেটাও সমান চারটি করে চার-ছক্কায় ১৬ বলে।
বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ২০ বা তার বেশি রান এসেছে শুধু দুইজনের ব্যাটে- অধিনায়ক মেহেদী মারুফ (২৩) ও শেখ পারভেজ জীবন (২২)। এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিং পারফরম্যান্সে জয় অধরাই থেকেছে গাজীর। ২৭.৪ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
ব্যাট হাতে ৩৩ রানের পাশাপাশি ৩১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিশাদ হোসেন। ৩ উইকেট গিয়েছে আরাফাত সানির ঝুলিতে।