Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিলেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবন থেকে বের হন। তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদ, সুমাইয়া আক্তার, আব্দুল কাদের, মেহেরুন্নেসা নিদ্রা, মো. মাহিন সরকার, আরিফ সোহেল ও আশিক।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান শিক্ষার্থীরা। সেখানে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন।

দুপুর দেড়টার পর শিক্ষার্থীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট ধরে এগোতে থাকেন। তবে যানজটের কারণে সেখানে কিছু সময় আটকা পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় সড়কের দুই পাশেই ব্যাপক যানজট দেখা যায়।

পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর তারা স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তা ধরে এগোতে থাকেন।

২টার দিকে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান আন্ডারপাস মোড়ে (স্টেডিয়ামের কোণে) গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তবে এখানে কোনো ব্যারিকেড দেখা যায়নি। পুলিশ মানবঢাল বানিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দিকে যায়।

লিস্তান আন্ডারপাস এলাকায় এসময় জলকামান, রায়ট কার, প্রিজন ভ্যানসহ পুলিশের সতর্কাবস্থান দেখা যায়। পাশাপাশি পেছনের দিকে গোলাপশাহ মাজার এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকলপ্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিলেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবন থেকে বের হন। তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদ, সুমাইয়া আক্তার, আব্দুল কাদের, মেহেরুন্নেসা নিদ্রা, মো. মাহিন সরকার, আরিফ সোহেল ও আশিক।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান শিক্ষার্থীরা। সেখানে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন।

দুপুর দেড়টার পর শিক্ষার্থীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট ধরে এগোতে থাকেন। তবে যানজটের কারণে সেখানে কিছু সময় আটকা পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় সড়কের দুই পাশেই ব্যাপক যানজট দেখা যায়।

পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর তারা স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তা ধরে এগোতে থাকেন।

২টার দিকে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান আন্ডারপাস মোড়ে (স্টেডিয়ামের কোণে) গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তবে এখানে কোনো ব্যারিকেড দেখা যায়নি। পুলিশ মানবঢাল বানিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দিকে যায়।

লিস্তান আন্ডারপাস এলাকায় এসময় জলকামান, রায়ট কার, প্রিজন ভ্যানসহ পুলিশের সতর্কাবস্থান দেখা যায়। পাশাপাশি পেছনের দিকে গোলাপশাহ মাজার এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকলপ্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।