চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে রামুতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন পর ট্রেনে করে রওনা দেন তিনি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২৩ মিনিটে কক্সবাজারের রেলওয়ে স্টেশনে নিজের হাতে ট্রেনের টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা নেড়ে এবং হুইসেল বাজিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ওই ট্রেনে ওঠেন সরকারপ্রধান।
১টা ২৮ মিনিটে ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কক্সবাজার রেল স্টেশন থেকে রামু রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রামু স্টেশনে পৌঁছান। পরে রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ট্রেনযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যাত্রার সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির বিভিন্ন বগি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সফরসঙ্গীদের খোঁজখবর নেন।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
মগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই হিসেবে অনুমোদানের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হচ্ছে। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।