Dhaka মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামুতে ডাকাতদলের গুলিতে বাবা-ছেলে নিহত

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালানকে কেন্দ্র করে ডাকাতদলের গুলিতে বাপ-ছেলে নিহত হয়েছে। দুই ডাকাত গ্রুপের বিরোধের জেরে তারা নিহত হয়।

রোববার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের থোয়াংগাকাটা ঘোনারপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- থোয়াংগাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মির কাসেম বলেন, এখানকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী গরু ডাকাতি করতে আসে। তাদের বাধা দিলে বাবা-ছেলেকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ অনেক আতঙ্কে আছে।

তবে পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটেছে।

রামু থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে ওই এলাকায় আবছার ডাকাত এবং শাহীন ডাকাতের দুটি গ্রুপ আছে। আধিপত্য বিস্তার এবং বার্মিজ গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে গ্রুপ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রবিবার রাতে শাহীন ডাকাত গ্রুপের ১৪-১৫ জন চোরাচালানের গরু পার করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওখানে আবছার ডাকাত গ্রুপের ২০-২২ জন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শাহীন গ্রুপের মো. সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সেলিমের পিতা জাফর আলম ছেলেকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর এবং গুলি করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না : আইজিপি

রামুতে ডাকাতদলের গুলিতে বাবা-ছেলে নিহত

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালানকে কেন্দ্র করে ডাকাতদলের গুলিতে বাপ-ছেলে নিহত হয়েছে। দুই ডাকাত গ্রুপের বিরোধের জেরে তারা নিহত হয়।

রোববার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের থোয়াংগাকাটা ঘোনারপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- থোয়াংগাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মির কাসেম বলেন, এখানকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী গরু ডাকাতি করতে আসে। তাদের বাধা দিলে বাবা-ছেলেকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ অনেক আতঙ্কে আছে।

তবে পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটেছে।

রামু থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে ওই এলাকায় আবছার ডাকাত এবং শাহীন ডাকাতের দুটি গ্রুপ আছে। আধিপত্য বিস্তার এবং বার্মিজ গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে গ্রুপ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রবিবার রাতে শাহীন ডাকাত গ্রুপের ১৪-১৫ জন চোরাচালানের গরু পার করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওখানে আবছার ডাকাত গ্রুপের ২০-২২ জন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শাহীন গ্রুপের মো. সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সেলিমের পিতা জাফর আলম ছেলেকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর এবং গুলি করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।