রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে লাইবেরিয়ান জাহাজ। শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগনবল ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে সেখানে পৌঁছে। জাহাজটি বন্দরের রহারবারিয়ার ৭ নং বয়ায় নোঙর করে।
প্রায়ই একই সময়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলায় পৌঁছে ‘এমভি আকিজ হেরিটেজ’। সন্ধ্যা নাগাদ বন্দরের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় অবস্থান করার কথা।
গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা থেকে ছেড়ে আাসা জাহাজটি ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। সেখান থেকে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে তিনটি লাইটার জাহাজে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মোংলায় পাঠানো হয়।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, প্রথমবারের মতো রামপাল পাওয়ার প্লান্টের জ্বালানি আমদানি করা হয়েছে। এ কয়লা মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। আমাদের জন্য একটি সুখবর। এটা যুগের সাক্ষী হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতেও এ বন্দর দিয়ে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা পণ্য আসবে।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৭০০ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে রাশিয়ান জাহাজ ‘এমভি পেসকোয়ালিস’ মোংলা বন্দরে ভিড়ে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। সেটি এখনও চলমান রয়েছে।
১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), বাগেরহাট নামের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল উপজেলার সাপমারি এলাকায় অবস্থিত। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ হচ্ছে। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।
২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণকাজ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে।