চলন্ত ট্রেনে প্রায়ই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিশেষ করে রাতের চলন্ত ট্রেন হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য। হরহামেশাই ঢাকা-নরসিংদী-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন যাত্রীরা। ৯ নভেম্বর সোমবার কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে এমন একটি ঘটনার কথা বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপে জানিয়েছেন সানাউল্লাহ নামের এক যাত্রী।
তিনি লিখেছেন, ‘এটা আমি কি দেখলাম! ছবিতে ভদ্র মহিলার কোলে ব্যানিটি ব্যাগ রাখা ছিল। ব্যাগে ১০ হাজারের মত টাকা ছিল। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটা মেথিকান্দা প্রবেশের প্রায় ১০ মিনিট আগে যখন ৭০/৭২ কিলো গতিতে ছুটছিল। জানালা দিয়ে হাত দিয়ে এক লোক ব্যাগ নিয়ে যায়। হাতগুলো উপর দিক থেকে প্রবেশ করে। আমরা সবাই যখন উৎসুক! খানিকবাদে জানালার পাশে ব্যাগটি আবার ঝুলতে থাকে, মহিলাকে এক ভাই বললেন, ব্যাগ! ব্যাগ! ব্যাগ! মহিলা ব্যাগটি গ্রহণ করলেন। ব্যাগে থাকা ১০ হাজার উধাও!’
আরও পড়ুন : পাথর কম নতুন রেললাইনে: দুর্ঘটনার ঝুঁকি
এ যেন সিনেমার পর্দায় দেখা ঘটনা বাস্তবে! মন্তব্যের ঘরে আহসান হাবিব উজ্জ্বল লিখেছেন, ‘এ ধরণের ঘটনা অহরহ ঘটে। ট্রেনের উপরে ৩ জন সম্মিলিত ভাবে এই কাজ করে। দুইজন ধরে থাকে আর একজন শুয়ে এঙ্গেল হয়ে এই কাজ করে। এর আগে সিলেট রুটে এক আপুর মোবাইল একইভাবে ছিনতাই করে ব্যাগ ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।’
আব্দুল্লাহ আল মাসউদ নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা নতুন না। আমি পারাবত এক্সপ্রেসে প্রায়ই দেখি। বিশেষ করে নরসিংদী আসলে এসব ঘটনা ঘটে।’ জুয়েল চৌধুর লিখেছেন, ‘একবার তূর্ণা নিশীথায় দেখছিলাম, এরকম ব্যাগ নিয়ে গিয়ে মোবাইল টাকা নিয়ে পরে ব্যাগে থাকা সার্টিফিকেট সহ ব্যাগটা ফেরত দেয়। উল্লেখ্য, ট্রেনের ছাদে ওঠা একেবারেই নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে অপরাধীরা ঠিকই সুযোগ খুঁজে উঠে যায়। তাদের রুখতে দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।