স্পোর্টস ডেস্ক :
বিস্ফোরক সব ইনিংস খেলে গত আসরেই নিজেদের আলাদাভাবে পরিচয় করিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই দুই ওপেনার গতবার যেখানে শেষ করেছিলেন এবার ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ঝড় তোলেছেন তারা। তাদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ইশান কিশান। তাতে রানের পাহাড় গড়ে দল। হায়দরাবাদের সেই রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
রোববার (২৩ মার্চ) হায়দরাবাদে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৬ রান করেছেন ইশান। এ ছাড়া ফিফটি পেয়েছেন হেড। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করেছে রাজস্থান।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে দুই উইকেটে হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। এরপর দলীয় ৫০ রানে পতন হয় তৃতীয় উইকেটের। চতুর্থ উইকেটে সঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেলের ১০১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় রাজস্থান।
কিন্তু দলীয় ১৬১ রানের মাথায় স্যামসন ও জুরেল, দুজনই আউট হলে ফের বিপদে পড়ে রাজস্থান। এই বিপদ থেকে সেরে উঠতে পারেনি পরাগের দল। স্যামসন ৩৭ বলে ৬৬ আর জুরেল ৩৫ বলে ৭০ রান করেন।
শেষদিকে রাজস্থানের হয়ে লড়াই করেন শিমরন হেটমায়ার। তবে ক্যারিবিয়ান তারকার ২৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস কোনো কাজে লাগেনি। শিবম দুবে ১১ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
হায়দরাবাদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন হার্শা প্যাটেল ও সিমারজিত সিং। রাজস্থানের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদকে এদিন উড়ন্ত সূচনা এনে দেন হেড। রাজস্থানের বোলারদের তুলাধুনা করে ৩১ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি গড়া ৩ ছক্কা ও ৯ চারে।
হায়দরাবাদের রান উৎসবের শুরু ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে; ফাজাল হাক ফারুকিকে দুই চার মারেন আভিশেক শার্মা। পরের ওভারে মাহিশ থিকশানাকে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান হেড।
ফারুকিকে পরে টানা তিন চার মারা আভিশেকের ঝড় থামান থিকশানা। ১১ বলে ২৪ রান করে ফেরেন হায়দরাবাদের ওপেনার আভিশেক।
মুখোমুখি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার মেরে কিষান শুরু করেন পথ চলা। সেই যে শুরু এরপর আর তাকে থামাতে পারেননি রাজস্থানের কেউ।
পঞ্চম ওভারে জফ্রা আর্চারকে চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন হেড। ওভারটি থেকে আসে ২৩ রান। ২১ বলে ফিফটি করা ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন তুষার দেশপান্ডে।
থিকশানা ও সান্দিপকে ওভারে দুটি করে চার মারেন কিষান। পরে আর্চারকে টানা দুই ছক্কায় ২৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরেকটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
কিষানের খুনে ব্যাটিং চলতে থাকে পরেও। ১৯তম ওভারে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি, ৪৫ বলে। মাঝে ১৪ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হাইনরিখ ক্লসেন।