নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মহানগর পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডিএমপি টিম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বলেই রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন উন্নতি হয়েছে। ভবিষ্যতেও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিম ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, চুরির মামলা, ছিনতাই মামলা, চোরাই গাড়ি উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পাবে, জনগণ তাদের সমস্যাগুলো খুব সহজে পুলিশকে জানাতে পারবে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমান গুরুত্ব দিয়ে পেশাদারত্বের সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় তিনি ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার(হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স আ্যন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।