Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মতিঝিল ও রামপুরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর শাখার নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার করে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে। এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বেঁচে থাকা ও মত প্রকাশের অধিকার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকারসহ সব মৌলিক মানবাধিকার হরণ করেছে। সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আদালত মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল অথচ সরকার আদালতকে অপব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তিনি সরকারের এহেন হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, গুপ্ত হত্যা ও ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।

দেলাওয়ার হোসেন বলেন, সরকার আদালতকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে ব্যবহার করে দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সরকারের ছক অনুযায়ী নিম্ন আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

এমনকি সব নিয়ম লঙ্ঘন করে গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুনানি ছাড়াই বিরোধীদলের সম্ভাব্য নির্বাচনী প্রার্থীদের দ্রুত সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা বিচারক ও বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, শামছুর রহমান, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা কলেজ সভাপতি আসিফ তাজওয়ার শিশিরসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার আমীর ও সেক্রেটারিরা।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ১২:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মতিঝিল ও রামপুরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর শাখার নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার করে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে। এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বেঁচে থাকা ও মত প্রকাশের অধিকার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকারসহ সব মৌলিক মানবাধিকার হরণ করেছে। সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আদালত মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল অথচ সরকার আদালতকে অপব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তিনি সরকারের এহেন হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, গুপ্ত হত্যা ও ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।

দেলাওয়ার হোসেন বলেন, সরকার আদালতকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে ব্যবহার করে দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সরকারের ছক অনুযায়ী নিম্ন আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

এমনকি সব নিয়ম লঙ্ঘন করে গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুনানি ছাড়াই বিরোধীদলের সম্ভাব্য নির্বাচনী প্রার্থীদের দ্রুত সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা বিচারক ও বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, শামছুর রহমান, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা কলেজ সভাপতি আসিফ তাজওয়ার শিশিরসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার আমীর ও সেক্রেটারিরা।