স্পোর্টস ডেস্ক :
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৩৩ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লিগের ম্যাচে রনি তালুকদারের ক্যারিয়ারসেরা সেঞ্চুরিতে শিরোপার আশা টিকিয়ে রেখেছে মোহামেডান।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৭ রান করেছিল মোহামেডান। জবাব দিতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।
তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৪ রানে ফেরেন তামিম। শাহদাত হোসেন দিপু-পারভেজ হোসেন ইমন ৬০ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামলান। ৩৮ রানে ইমন আউট হলে ভাঙে জুটি। দিপুর ফেরেন ৫১ রানে। জাকের দারুণ খেললেও ৪১ রানের বেশি করতে পারেননি। মাঝে মুশফিকুর রহিম ১০ ও নাঈম ইসলাম ২ রানে ফিরলে বিপদ বাড়ে।
নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে রনির দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। যদিও ডাইভ দিতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে পা লাগে রনির, কিন্তু তবুও তাকে আউট ঘোষণা করা হয়। এর রেশ দেখা যায় ম্যাচ শেষেও।
মুশফিক সাজঘরে ফিরলে সানজামুল ইসলাম-শেখ মেহেদী এগিয়ে নিতে থাকেন। ৩৫ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন সানজামুল। তখনও ক্রিজে মেহেদী থাকলেও সঙ্গীর অভাবে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান ও নাসুম আহমেদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা।
মোহামেডানকে বড় রানের ভিত গড়ে দেয় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও রনি তালুকদারের জুটি। দুজনের ১৩১ রানের জুটিটি ভাঙেন রুবেল হোসেন। ৭৭ বলে ৫০ রান করে তার বলে বোল্ড হয়ে যান অঙ্কন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১৩২ ছিল রনি তালুকদারের এতদিনের লিস্ট এ তে সর্বোচ্চ রান। এবার সেটিকে টপকে গেছেন তিনি দশ বছর পর। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৮ চার ও ৯ ছক্কার ইনিংসে ১৩১ বলে ১৪১ রান করেছেন তিনি।
মোহামেডানের ইনিংস তিনশ ছাড়ানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মেহেদী হাসান মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিং। ৭ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ২৯ বলে ৫৩ রান করেন মিরাজ। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।
এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই টিকিয়ে রেখেছে মোহামেডান। ১২ ম্যাচে ৯ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে তারা, তাদের পয়েন্ট ১৮। সবার উপরে থাকা আবাহনী ১২ ম্যাচের সবগুলোতে জেতায় তাদের পয়েন্ট ২৪।