রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
নাশকতা মামলায় রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিবসহ ৫ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কৃষ্ণকান্ত রায় এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করে বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুস ছাত্তার জানান।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি তারেক হাসান সোহাগ ও যুবদল কর্মী আরিফ হোসেন।
এ মামলার অপর আসামি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ ও জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যে সাক্ষী উপস্থাপন করেছেন আদালতে, তারা ভিন্ন ভিন্ন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কাজেই এটা বোঝা যায়, একটি সাজানো মামলা। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই রায়ে জাতি হতবাক হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান আসামিপক্ষের এই আইনজীবী।
মামলার বরাতে পিপি আব্দুস ছাত্তার বলেন, ২০১৩ সালে ২০ মে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠে বসে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপির কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সময় তাদের কাছ থেকে ৫৬টি পটকা বোমা জব্দ করা হয়।
আব্দুস সাত্তার বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
এ ঘটনায় তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পিপি আরও জানান, পরে নাশকতার মামলায় বিএনপির সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পাঁচ আসামিকে ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আফতাব।