বন্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বানের তোড়ে অনেক এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে চলছে নৌকা। যে সব এলাকায় নৌকা নেই সে সব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এখনো পানিবন্দি মানুষ কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে চর্মসহ পানিবাহিত নানা রোগ।
পানিতে তলিয়ে আছে কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। তুরাগ ও বংশী নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও গাজীপুরে এখনো পানির নীচে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক। দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি নগরীর ২২টি ওয়ার্ড ও কালিয়াকৈর উপজেলার ১৮২টি গ্রামে লক্ষাধিক মানুষের।
শরীয়তপুরে পানি কিছুটা কমলেও সড়কের বেহাল দশা। জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন : পদ্মায় বিলীন শিবচরের আরও একটি স্কুল
এলাকাবাসী জানায়, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট ভেঙে অবস্থা খারাপ।
যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করার পর এবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, চরপৌলিসহ বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান তাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। ভাঙন রোধে কোন প্রকারের ব্যবস্থাও করা হয়নি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে টাঙ্গাইলে এক মাসে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।