মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

যমুনায় দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুতে উঠল যাত্রীবাহী ট্রেন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
যমুনায় দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুতে উঠল যাত্রীবাহী ট্রেন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম পাড়ি দিলো যমুনা বহুমুখী সেতু থেকে উত্তর পাশে অবস্থিত নতুন এই সেতু দিয়ে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুরর রহমান।

তিনি বলেন, বুধবার থেকে নতুন তৈরি যমুনা রেলসেতুতে নিয়মিত ট্রেন চলবে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম পাড়ি দিয়েছে যমুনা বহুমুখী সেতু থেকে উত্তর পাশে অবস্থিত নতুন এই সেতু দিয়ে। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে ট্রেনটি সেতু অতিক্রম করে। পর্যায়ক্রমে সিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো যাবে।

তিনি আরও বলেন, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা রেল সেতুতে দুটি লাইন থাকলেও প্রথমে একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে যেতে ডান পাশের লাইন, অর্থাৎ সেতুর উত্তর পাশের লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলবে। আপাতত একটি লাইনে উভয়দিকে ট্রেন চলবে। তবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। যোগাযোগ উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। ওই দিন থেকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

রেলসেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের আগস্টে যমুনা নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর করা হয়।

এর আগে, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার।

যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত যমুনা বহুমুখী সেতুটি ১৯৯৮ সালে চালু হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের। এই দুর্ভোগ এড়াতে সেতুটির ৩০০ মিটার অদূরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেল সেতু।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া