দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি :
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। চলিত সপ্তাহে দুইদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত সম্ভাবনা নাই। এছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর আগে শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
এদিকে তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোশকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ পিঠার স্বাদ উপভাগ করছেন।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই জেলায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক ইসলাম হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত পড়ছে তবে আজকের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তাঘাট কিছু দেখা যায় না। এরকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর খুবই সমস্যা।
কথা হলে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মহরমপুর গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন সকালে শহরের বাহাদুর বাজারে শিম, ফুলকপিসহ বিভিন্ন শাকসবজি নিয়ে যাই। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পর থেকে শীত বেশি পড়েছে। আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এটা একটু কষ্টকর।
একই ইউনিয়নের কৃষক নুরু শাহ বলেন, বৃষ্টির পর থেকে নিয়মিত সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। জমিতে ধান কেটে রাখা আছে। একটু রোদ পেলে ধানের জন্য ভালো হতো। কিন্তু দুদিন ধরে কুয়াশা আর শীত বেড়ে গেছে।