শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

মেসির ফেরার ম্যাচে কষ্ট করে জয় পেলো মায়ামি

স্পোর্টস ডেস্ক
আপডেট : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
মেসির ফেরার ম্যাচে কষ্ট করে জয় পেলো মায়ামি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লিওনেল মেসি নেই মানে মায়ামির জয়ও নেই। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আগের ম্যাচেই অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে সেটা দেখা গিয়েছিল। এক ম্যাচ বাদেই মেসি ফিরলেন, মায়ামিও জিতলো। ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জয়টি ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে মায়ামিকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন লিওনার্দো কাম্পানা।

রোববার (১৯ মে) ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের পুরোটা সময় জুরে দাপট দেখালেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি মায়ামি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে চমক দেখান কাম্পানা। সার্জিও বুসকেটসের বাড়ানো বল ধরে দুর্দান্ত ভলিতে জাল খুঁজে নেন ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।

মেসিকে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী মায়ামি ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখলে আধিপত্য দেখায়। তবে আক্রমণে খুব একটা দাপট দেখাতে পারছিল না দলটি।

অষ্টম মিনিটে প্রথমবার লক্ষ্যে আঘাত হাতে মায়ামি। লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে গোলের সামনেই বল পেয়েছিলেন বেঞ্জামিন ক্রেমাসি। তবে তার দুর্বল শট সহজেই ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।

মায়ামির দাপটের মধ্যে ভয়ে চুপসে যায়নি ডিসি ইউনাইটেড। রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে তারাও। ১৯ মিনিটে প্রথমবার গোলে শট নেয় তারা। তবে পেনাল্টি বক্সের ওনেক বাইরে থেকে নেয়া পেদ্রো সান্তোসের সেই শট সহজেই ফিরিয়ে দেন মায়ামির গোলরক্ষক।

৪৩ মিনিতে সহজ মিস করেন ক্রেমাসি। জর্ডি আলবার বাড়ানো দুর্দান্ত বল বক্সের মধ্যে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। সামনে থাকা একমাত্র গোলরক্ষকের গায়ে বল মারেন তিনি। গোল ছাড়াই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে সফরকারীরা মায়ামির দাপট কমাতে শুরু করে। তবুও ধীরে ধীরে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন মেসিরা। ৭০ মিনিটে এই আর্জেন্টাই মহাতারকার দূরপাল্লার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। নিশ্চিত ড্র মাথায় নিয়েই ম্যাচের শেষদিকে ডিসি ইউনাইটেড রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। মায়ামি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে আক্রমণে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় যোগ করা সময়ে মেসিরা পেয়ে যান জয়সূচক গোলটি।

সার্জিও বুসকেটস প্রায় মাঝমাঠ থেকে দারুণভাবে বাড়ানো বল পেয়ে যান কাম্পানা। ইকুয়েডরের এই ফরোয়ার্ড প্রথমে বলটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন। তাতেই নিশ্চিত পয়েন্ট খোয়াতে যাওয়া মায়ামি পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এই জয়ে তারা ১৫ ম্যাচ শেষে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষেই থাকল। ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট এখন ৩১।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া