স্পোর্টস ডেস্ক :
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। তবে তা সত্ত্বেও লিওনেল মেসির ম্যাজিকে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। মেজর লিগ সকারে নাশভিলে এসসিকে হারিয়েছে তাতা মার্তিনোর দল। তিনটি গোলেই অবদান রাখেন মেসি। জোড়া গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
রোববার (২১ এপ্রিল) ভোরে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি ও নাশভিল। মায়ামির ৩-১ গোলে জয়ের এই ম্যাচে মেসি ছাড়া দলের পক্ষে অন্য গোলটি করেন সার্জিও বুসকেটস।
মেসির একটি গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন তার পুরোনো বন্ধু ও সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। আবার মেসির অ্যাসিস্ট থেকে হেডের মাধ্যমে গোল করেছেন সের্হিও বুস্কেতস। মায়ামির এই জয়ের রাতটিতে যেন ছিল সাবেক বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের জয়জয়কার।
শীর্ষস্থান ধরে রাখার ম্যাচে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় মায়ামি। ম্যাচের ২ মিনিটের সময় ন্যাশভিল কর্নার কিক করলে মায়ামির ডিফন্ডার ফ্রাঙ্কো নেগ্রির নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন। তখন ঘরের মাঠে খেলা দেখতে আসা দর্শক-সমর্থকেরা নিশ্চুপ হয়ে যান। নীরবতা আরও বাড়ত যদি পঞ্চম মিনিটে নেওয়া জশ বাউয়ের শট বারে লেগে ফিরে না আসত।
তবে খেলায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। ১১ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। সমতায় ফেরানো গোলটি আসে মেসি-সুয়ারেজের দুর্দান্ত জুটিতে। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক পানিক্কোর শট বক্সের একটু বাইরে পেয়ে যান সুয়ারেজ। বল পেয়েই বাঁ দিকে ফাঁকায় থাকা মেসিকে দেন তিনি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বল নিয়ে সামনে এগিয়ে শট নিলে তা রুখে দেন পানিক্কো। তবে সেবার রক্ষা করলেও পরে আর পারেননি। ফিরতি বল আবারও সুয়ারেজ পেয়ে যান। এবারও উরুগুয়ের স্ট্রাইকার মেসিকে দেন। এবার গোল করতে আর ভুল করেননি মেসি।
ম্যাচের ২ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। গোলবারের দুর্দান্ত প্লেসমেন্ট করেছিলেন। কিন্তু বাঁ দিকের বারে লেগে ফিরে আসে বল। ২৯ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। গোলরক্ষক বরাবর শট নেওয়ায় তখনো গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। নিজে গোল করতে ব্যর্থ হলেও পরে সতীর্থকে দিয়ে ঠিক গোল করিয়েছেন।
কর্নার কিক থেকে হেডে ৩৯ মিনিটে গোল করে মায়ামিকে ২-১ গোলের লিড এনে দেন বুসকেতস। গোলটি করার পর অনাগত সন্তানকে উৎসর্গ করেন স্পেনের সাবেক মিডফিল্ডার। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকটি গোল পেয়েছিল মায়ামি। তবে ৪৩ মিনিটে করা বদলি খেলোয়াড় লিওনার্দো আফোনসোর গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অতিথিরা। তাতে কোনো লাভ হয়নি তাদের। উল্টো ম্যাচের শেষ দিকে আরেকটি গোল হজম করে ন্যাশভিল। ৮১ মিনিটে বক্সের মধ্যে মায়ামির এক খেলোয়াড়কে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুযোগটি পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি আটবারের ব্যালন ডি অর জয়ী মেসি। তাঁর সেই গোলের পরেই ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
এ নিয়ে এমএলএসের চলতি আসরে মায়ামির হয়ে ৭ গোল করলেন মেসি। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার দুইয়ে আছেন তিনি। ৮ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন রিয়াল সল্ট লেকের ক্রিস্টিয়ান আরাঙ্গো।
মায়ামির পরের ম্যাচ আগামী রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।