Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেট্রোরেলের সুরক্ষায় এমআরটি পুলিশ গঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় পাঁচ মাস পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় অনুমতি পায় ‘ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’। পুলিশের এ ইউনিটটি গঠনে একজন উপমহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে ২৩১ জনের জনবল চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-৩ শাখা থেকে উপসচিব নূর-এ-মাহবুবা জয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমআরটি মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ২৩১টি পদ সৃজন এবং ১৫টি যানবাহন টিওঅ্যান্ডইভুক্তকরণ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাজের জন্য থাকবেন একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, দুজন পরিদর্শক, একজন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), একজন ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (সশস্ত্র), তিনজন এএসআই (নিরস্ত্র), চারজন এএসআই (সশস্ত্র), পাঁচজন নায়েক, ১০ জন কনস্টেবল, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন হিসাবরক্ষক, একজন উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক দুজন।

এমআরটি লাইন-৬ এর জন্য থাকবেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ছয়জন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), ৩৪ জন এএসআই (নিরস্ত্র) ও ১৫৩ জন কনস্টেবল।

যানবাহনের বিবরণ থাকবে একটি জিপ, চারটি পিক-আপ ও ১০টি মোটরসাইকেল।

জানা যায়, সার্বিক দিক বিবেচনায় মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেট্রোরেলের জন্যও আলাদা ইউনিট গঠনের প্রস্তাব ছিল শুরু থেকেই। রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্য পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এমআরটি পুলিশও অনুরূপভাবে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে কাজ করবে।

উদ্বোধনের আগে ও উদ্বোধন পরবর্তীসময়ে এমআরটি পুলিশ গঠনের আগ পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে দুষ্কৃতকারীরা মেট্রোরেলকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে মেট্রোরেলের একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনও আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকারের হাইকমান্ড। যেকোনো উপায়ে দুর্বৃত্তদের ধরতে বলা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এরইমধ্যে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

মেট্রোরেলের সুরক্ষায় এমআরটি পুলিশ গঠিত

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় পাঁচ মাস পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় অনুমতি পায় ‘ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’। পুলিশের এ ইউনিটটি গঠনে একজন উপমহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে ২৩১ জনের জনবল চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-৩ শাখা থেকে উপসচিব নূর-এ-মাহবুবা জয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমআরটি মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ২৩১টি পদ সৃজন এবং ১৫টি যানবাহন টিওঅ্যান্ডইভুক্তকরণ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাজের জন্য থাকবেন একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, দুজন পরিদর্শক, একজন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), একজন ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (সশস্ত্র), তিনজন এএসআই (নিরস্ত্র), চারজন এএসআই (সশস্ত্র), পাঁচজন নায়েক, ১০ জন কনস্টেবল, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন হিসাবরক্ষক, একজন উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক দুজন।

এমআরটি লাইন-৬ এর জন্য থাকবেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ছয়জন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), ৩৪ জন এএসআই (নিরস্ত্র) ও ১৫৩ জন কনস্টেবল।

যানবাহনের বিবরণ থাকবে একটি জিপ, চারটি পিক-আপ ও ১০টি মোটরসাইকেল।

জানা যায়, সার্বিক দিক বিবেচনায় মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেট্রোরেলের জন্যও আলাদা ইউনিট গঠনের প্রস্তাব ছিল শুরু থেকেই। রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্য পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এমআরটি পুলিশও অনুরূপভাবে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে কাজ করবে।

উদ্বোধনের আগে ও উদ্বোধন পরবর্তীসময়ে এমআরটি পুলিশ গঠনের আগ পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে দুষ্কৃতকারীরা মেট্রোরেলকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে মেট্রোরেলের একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনও আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকারের হাইকমান্ড। যেকোনো উপায়ে দুর্বৃত্তদের ধরতে বলা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এরইমধ্যে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার।