কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পুলিশ সদস্যসহ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরেকজন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দের (৪৫) মরদেহ লালপুর ঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে রাইসুল (৫) নিখোঁজ রয়েছে।
ভৈরব নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুল এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে।
এ নিয়ে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন, পুলিশ সদস্যের মেয়ে মাহমুদা (৭), নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮), শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫), পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দের মেয়ে আরাধ্য (১১) এবং ঘটনার দিন সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরব কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর রেলসেতু এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে ভ্রমণে বের হন ২১ জন যাত্রী। কিছুদূর যেতেই এক যাত্রীর অনুরোধে মাঝি হাল ছেড়ে ছবি তুলতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠেন। পরে খবর পেয়ে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের স্পিড বোটে এসে এক নারীর মরদেহসহ আটজনকে উদ্ধার করে। পরদিন রোববার আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার ৪৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি।