নিজস্ব প্রতিবেদক :
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে করে মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো চাপ না পড়ে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংকোচন নীতি আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংকোচন নীতি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ যাতে না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া স্ট্যান্ডার্ড প্রসেসিং। ঘাটতি মেটাতে সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি কমবে। সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে প্রেসার না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, নিয়েছি। আরও যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, আমরা নেবো। আশা করি মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
বাজেটে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর। এটা সব অর্থমন্ত্রীই করেন। আমরা এটাকে ৫ শতাংশে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উত্তাপন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম বাজেট।