নিজস্ব প্রতিবেদক :
গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিরপুর ১ নম্বর এলাকা। লাঠিসোঁটা হাতে সড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) মিরপুর এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকরা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় এ এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল ৯টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে ১৪ নম্বরের দিকে চলে যায় তারা। লাঠি হাতে কয়েকশ শ্রমিক মিরপুর ১ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান করছেন। টেকনিক্যাল থেকে আসা সব ধরনের যানবাহন ঘুরিয়ে দিচ্ছেন তারা। শ্রমিক আন্দোলনের ভয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিক্ষোভ করার সময় গার্মেন্টস মালিক স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের কাজে লাগিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন। কিন্তু গুজব ছড়ায়, তাদের এক সহকর্মী মারা গেছেন। তবে সেই ব্যক্তি কোথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ও তার লাশ কোথায় আছে এমন কোনো তথ্য তারা দিতে পারছে না। ফলে বিষয়টিকে গুজব হিসেবে দেখছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাও এ পথে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় কয়েকটি গার্মেন্টসের ফটক ভাঙচুর করতে দেখা যায় শ্রমিকদের। সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে আবার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে যায়।
গার্মেন্ট শ্রমিক ইমতিয়াজ বলেন, শ্রমিকদের একটি বড় অংশ মিরপুর ১১ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে। এখন তারা সেখানেই জড়ো হবেন।
সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার বিষয় তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে দুটি টেলিভিশন চ্যানেল। সেকারণে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে।
মিরপুর জোনের পুলিশের এসি হাসান মো. মুহতারিম বলেন, তারা আজ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নয়, তাদের এক সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এই দাবি তুলে বিক্ষোভ করছে। তবে এখন মিছিল নিয়ে তারা দারুস সালামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নামপ্রকাশ না করা শর্তে মিরপুর বিভাগের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তাদের সহকর্মী যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির লাশ কোন হাসপাতাল বা স্বজনদের কাছে হলেও তো থাকবে। কিন্তু এ নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তারা শুধু বলছে আমরা শুনেছি এমন ঘটনা ঘটেছে।