বরগুনা জেলা প্রতিনিধি :
ঘুর্ণিঝড় ‘মিথিলি’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ট্রলারের চার জেলে তিনঘণ্টা ভেসে থাকা অবস্থায় অপর এক ট্রলার উদ্ধার করে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ আট জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উদ্ধার হাওয়া জেলেরা পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাটে পৌঁছেছে।
এই চার জেলে হলেন নুর জামান মুন্সি, মাসুম মিয়া, আজগর মিয়া ও রাজিব। তাঁদের সকালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটি ট্রলারে পাথরঘাটায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন আবুল কালাম, মো. জাফর মিয়া, মজিবুর রহমান, ট্রলার মালিক ইউসুফ মিয়া, ছত্তার হাওলাদার, নাদিম, বেল্লাল ও ইয়াছিন মিয়া। জেলেদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।
নিখোঁজ ট্রলার মালিক ইউসুফের ভাই ইয়াকুব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার মালিক নিখোঁজ ইউসুফের ভাই ইয়াকুব আলী বলেন, গত মঙ্গলবার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পাথরঘাটা থেকে সাগরে যান ১২ জন জেলে। শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ট্রলার ডুবে যায়। চার জেলে উদ্ধার হলেও আমার ভাইসহ আট জেলের সন্ধান মেলেনি।
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে ইয়াকুব আলী বলেন, হঠাৎ ট্রলারটি ডুবে গেলে চারজন লাফ দিয়ে সাগরে পড়ে যান। ওই চার জেলে ভাসতে ভাসতে তিন ঘণ্টা পর অপর একটি ট্রলারে উঠে মহিপুর ঘাটে যান। তবে এখন পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলার ও বাকি জেলেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলার ডুবে যাওয়া ও জেলে নিখোঁজের খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমরা পরিবারের সাথে কথা বলেছি। নিখোঁজ জেলের খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন পাথরঘাটা ষ্টেশন লে. সাকিব মেহেবুব জানান, জেলে নিখোঁজের খবর এখন পর্যন্ত আমাদের জানা নেই। তবে কোস্টগার্ড ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে চলমান আছে। তবে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছি।