Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে যা বললেন জয়া

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ক্যারিয়ার, ব্যক্তিজীবন এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে মতামত জানিয়ে থাকেন তিনি। এ কারণে অনেক সময় সংবাদের শিরোনামেও জায়গা করে নেন। এবার তিনি কথা বললেন কওমি মাদ্রাসার বাচ্চাদের নিয়ে। জয়া আহসানের লেখাটি অনেকের পেজে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। সেই পোস্টটি ‘কালেক্টড’ পোস্ট হিসেবে শেয়ার করেছেন জয়া।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ফেসবুকে সংগৃহীত একটি লেখা পোস্ট করেছেন জয়া আহসান। লেখাটিতে মাদরাসার এতিম ছাত্রদের নীরব যন্ত্রণার কথা ফুটে উঠেছে। যা খুবই হৃদয়বিদারক।

সকালে দেওয়া পোস্টটির বিকেল নাগাদ শেয়ার হয়েছে দুই হাজারের বেশি। আর মন্তব্য এসেছে আড়াই হাজারের ওপরে।

জয়া আহসানের পোস্টে লেখা, রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদরাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারো কারো মামা খালা চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকিরা সারা দিন কান্না করে।

তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা-বাবার ওপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়―কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা-চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।’

পোস্টের শেষ দিকে অনুরোধও করেছেন জয়া। লিখেছেন, ‘একটা অনুরোধ―এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেনপক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হয়।

অনেকেই জয়ার এমন পোস্টকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই তাঁর সঙ্গে সম্মতি জানিয়ে লিখেছেন ‘ইনশাল্লাহ’। নিলয় হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘দারুণ অনুভূতি আমাদের সকলের মাঝে মানবতা জাগ্রত হোক।’ রিয়াদ হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘সুন্দর একটি পোস্ট। খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সত্য তুলে ধরার জন্য।’

তারকাদের পোস্টে নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য থাকলেও জয়ার এই পোস্টটি সবাই সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং জানিয়েছেন ইতিবাচক মন্তব্য।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে যা বললেন জয়া

প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ক্যারিয়ার, ব্যক্তিজীবন এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে মতামত জানিয়ে থাকেন তিনি। এ কারণে অনেক সময় সংবাদের শিরোনামেও জায়গা করে নেন। এবার তিনি কথা বললেন কওমি মাদ্রাসার বাচ্চাদের নিয়ে। জয়া আহসানের লেখাটি অনেকের পেজে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। সেই পোস্টটি ‘কালেক্টড’ পোস্ট হিসেবে শেয়ার করেছেন জয়া।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ফেসবুকে সংগৃহীত একটি লেখা পোস্ট করেছেন জয়া আহসান। লেখাটিতে মাদরাসার এতিম ছাত্রদের নীরব যন্ত্রণার কথা ফুটে উঠেছে। যা খুবই হৃদয়বিদারক।

সকালে দেওয়া পোস্টটির বিকেল নাগাদ শেয়ার হয়েছে দুই হাজারের বেশি। আর মন্তব্য এসেছে আড়াই হাজারের ওপরে।

জয়া আহসানের পোস্টে লেখা, রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদরাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারো কারো মামা খালা চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকিরা সারা দিন কান্না করে।

তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা-বাবার ওপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়―কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা-চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।’

পোস্টের শেষ দিকে অনুরোধও করেছেন জয়া। লিখেছেন, ‘একটা অনুরোধ―এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেনপক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হয়।

অনেকেই জয়ার এমন পোস্টকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই তাঁর সঙ্গে সম্মতি জানিয়ে লিখেছেন ‘ইনশাল্লাহ’। নিলয় হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘দারুণ অনুভূতি আমাদের সকলের মাঝে মানবতা জাগ্রত হোক।’ রিয়াদ হোসেন নামের একজন লিখেছেন, ‘সুন্দর একটি পোস্ট। খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সত্য তুলে ধরার জন্য।’

তারকাদের পোস্টে নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য থাকলেও জয়ার এই পোস্টটি সবাই সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং জানিয়েছেন ইতিবাচক মন্তব্য।