লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, কারো একার পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সমস্ত অফিস-আদালত রয়েছে তাদের পক্ষেও সম্ভব না। এর জন্য স্তরে স্তরে লোকের প্রয়োজন। ভোটার না থাকলে ভোটের কোনো গুরুত্ব নেই।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে লালমনিরহাটের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদেও তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, যে প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধের ধরন বুঝে প্রার্থীদের সাজা দেওয়া হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সবার সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান। দল বা প্রার্থী বুঝে নয়, যে প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন, কমিশন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা এ কার্যক্রম আরও জোরদার করছি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে। ফলে কোথাও পরিস্থিতি খারাপের কোনো সুযোগ নেই। ভোটাররা এসে যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।
তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু করতে আমাদের সব ধরনের রয়েছে প্রস্তুতি। এ কারণেই আমরা প্রত্যেকটি জেলায় গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রেও যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে একই পদক্ষেপ ছোট অভিযোগেও নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রার্থীদের কোনো চিন্তার কারণ নেই।
তিনি বলেন, ভোটের দিন ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরিতে নির্বাচন কমিশন সচেষ্ট আছে। প্রতিটি স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে, কোনো রকমের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া কিংবা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ নেই।
প্রতিটি আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি যেন কেউ ভঙ্গ করে পার না পায় সেজন্য মাঠে নির্বাহী মেজিস্ট্রেটরা সজাগ আছে।
মতবিনিময় সভায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে লালমনিরহাটের তিন আসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সব প্রিজাইডিং কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।