অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান যুক্ত হয়েছে ভারতের বিমান বাহিনীর বহরে। বুধবার ভারতে এসে পৌঁছেছে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। এর ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে চীন দাবি করেছে, তাদের জে-২০ বিমানের সামনে দাঁড়াতেই পারবেনা ভারতের রাফাল।
ঝাং জিউফাং নামে এক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে ভারতের হাতে থাকা সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানের তুলনায় রাফাল অবশ্যই উন্নত প্রযুক্তির। কিন্তু আকাশে যুদ্ধের সময় কোনওভাবেই রাফাল চীনের ফোর্থ জেনারেশন জে ২০-র সামনে দাঁড়াতেই পারবে না।
ভারতের প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধান বি এস ধানোয়া দাবি করেছিলেন, রাফাল আসায় ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। চীনের জে ২০ রাফালের ধারেপাশে আসেনা বলেও দাবি করেন তিনি। রাফালকে ৪.৫ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান বলেও দাবি করেছিলেন ধানোয়া।
ভারতের প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধানের এই দাবি খারিজ করে পাল্টা চীনা মুখপত্র রাফালকে তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
৭০০০ নয়, ফ্রান্স থেকে ৮৫০০ কিলোমিটার পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে ভারতের আম্বালা এয়ারবেসে পৌঁছেছে যদিও ভারতের প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধান এখনও নিজের বক্তব্যেই অনড়। নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে চীনকে পাল্টা দু’টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ধানোয়া।
আরও পড়ুন : সীমান্তে ভারতীয়দের উপর নেপালি পুলিশের গুলির ঘটনা বেড়েছে
তিনি প্রশ্ন করেন, জে ২০ যদি সত্যিই চীনা দাবি অনুযায়ী ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান হয়, তাহলে কেন এই যুদ্ধবিমানগুলোতে কানার্ড থাকে?
ধানোয়ার দাবি, আমেরিকার জে ২২, রাশিয়ার এসইউ ৫৭-এর মতো প্রকৃত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলোতে কানার্ড থাকে না। বিমানের নিয়ন্ত্রণ উন্নত করার লক্ষ্যে মূল দু’টি ডানার সামনে যে ছোট ডানাগুলি থাকে, সেগুলোকেই কানার্ড বলা হয়।
ধানোয়ার দাবি এই ধরনের কানার্ড বিমানে থাকলে তা সহজে প্রতিপক্ষের রাডারে ধরা পড়ে যায়।
প্রাক্তন বিমান বাহিনীর প্রধানের আরও প্রশ্ন, চীনের জে ২০ যুদ্ধবিমানগুলোতে কেন ‘সুপারক্রজিং’-এর সুবিধা নেই? যে য্দ্ধুবিমানগুলো আফটারবার্নারের বা অতিরিক্ত জ্বালানি না পুড়িয়েই মাখ ১ বা শব্দের থেকেও বেশি গতিবেগ তুলতে সক্ষম, সেগুলোকে এই গোত্রে ফেলা হয়। ধানোয়ার দাবি, রাফালে এই সুবিধা রয়েছে এবং ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানগুলোর রাডারও অন্যতম সেরা।
সূত্র: নিউজ এইট্টিন