Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা নেই!

সংগৃহিত ছবি

বর্ষায় নদীতে ইলিশের সমারোহ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ইলিশের দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। বিশেষণ করে যারা ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন সেই সব জেলেদের অবস্থা খুবই নাজুক।

তারা জানান, ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। জেলেরা জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন কূলে। নিজেদের খাওয়ার মাছও পাচ্ছেন না জেলেরা।

এদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ার কারণে জেলে পল্লীগুলোতে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। ঋণের বোঝা বাড়ছে জেলেদের। হতাশ ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাড়রা।

বরগুনার আমতলী ও তালতলীর জেলে পল্লীগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মৌসুম শুরু হলেও সমুদ্রে ও উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশ মাছ পড়ছে না। অনেক ফিশিং ট্রলার ইলিশ মাছ না পাওয়ায় সমুদ্রে মাছ ধরতে না গিয়ে ঘাটে অলস সময় পার করছেন।

আরও পড়ুন : সদরঘাটে লঞ্চডুবি : মামলা তদন্তে ধীরগতি : বেরিয়ে যাচ্ছে আসামিরা

চলতি বছরের মৌসুম ছাড়া আমতলী-তালতলীর পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে ইলিশের দেখা মিললেও এখন ভরা মৌসুমে ইলিশ নেই বললেই চলে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় জেলেরা এক রকম খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করেছেন।

এখন আবার ইলিশ মৌসুমে সমুদ্রে ও নদ-নদীতে মাছ না থাকায় আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী নাইয়াপাড়া, বৈঠাকাটা, লোচা, বালিয়াতলী, তালতলীর নলবুনিয়া, জয়ালভাঙ্গা, ফকিরহাট, চরপাড়া জেলে পল্লীগুলোতে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।

গুলিশাখালী নাইয়াপাড়ার জেলে মো. রফিক বিশ্বাস বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে। মৌসুমের বাইরেও ইলিশ পাওয়া যায়। এখন অবস্থা তার থেকেও খারাপ।

তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি ও সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী টেলিফোনে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার মালিকরা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে সমুদ্রে ট্রলার পাঠিয়ে খরচের টাকাও তুলতে পারছেন না। ভরা মৌসুমে বর্তমানে যেভাবে সমুদ্র ও উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশের আকাল পড়েছে তাতে ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাড়দের ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়ে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা নেই!

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

বর্ষায় নদীতে ইলিশের সমারোহ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ইলিশের দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। বিশেষণ করে যারা ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন সেই সব জেলেদের অবস্থা খুবই নাজুক।

তারা জানান, ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। জেলেরা জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন কূলে। নিজেদের খাওয়ার মাছও পাচ্ছেন না জেলেরা।

এদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ার কারণে জেলে পল্লীগুলোতে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। ঋণের বোঝা বাড়ছে জেলেদের। হতাশ ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাড়রা।

বরগুনার আমতলী ও তালতলীর জেলে পল্লীগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মৌসুম শুরু হলেও সমুদ্রে ও উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশ মাছ পড়ছে না। অনেক ফিশিং ট্রলার ইলিশ মাছ না পাওয়ায় সমুদ্রে মাছ ধরতে না গিয়ে ঘাটে অলস সময় পার করছেন।

আরও পড়ুন : সদরঘাটে লঞ্চডুবি : মামলা তদন্তে ধীরগতি : বেরিয়ে যাচ্ছে আসামিরা

চলতি বছরের মৌসুম ছাড়া আমতলী-তালতলীর পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে ইলিশের দেখা মিললেও এখন ভরা মৌসুমে ইলিশ নেই বললেই চলে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় জেলেরা এক রকম খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করেছেন।

এখন আবার ইলিশ মৌসুমে সমুদ্রে ও নদ-নদীতে মাছ না থাকায় আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী নাইয়াপাড়া, বৈঠাকাটা, লোচা, বালিয়াতলী, তালতলীর নলবুনিয়া, জয়ালভাঙ্গা, ফকিরহাট, চরপাড়া জেলে পল্লীগুলোতে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।

গুলিশাখালী নাইয়াপাড়ার জেলে মো. রফিক বিশ্বাস বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে। মৌসুমের বাইরেও ইলিশ পাওয়া যায়। এখন অবস্থা তার থেকেও খারাপ।

তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি ও সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী টেলিফোনে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার মালিকরা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে সমুদ্রে ট্রলার পাঠিয়ে খরচের টাকাও তুলতে পারছেন না। ভরা মৌসুমে বর্তমানে যেভাবে সমুদ্র ও উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশের আকাল পড়েছে তাতে ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাড়দের ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়ে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।