মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তিন গ্রামের মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তিন গ্রামের মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নতুনহাটি বোয়ালিয়া খালের ওপর জরাজীর্ণ সেতুটির মূল অংশ ভেঙে গর্ত হয়েছে দেড় বছর আগে। এই ভাঙা সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন চুন্টা ইউনিয়নের নতুনহাটি, পানিশ্বর ইউনিয়নের তারাখলা ও দেওবাড়িয়া এই তিনগ্রামের ১০ হাজার মানুষ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া জানান, নতুনহাটি রউফ শাহী হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এই সেতুটি ১৯৯৮ সালে নির্মিত। গ্রামীণ সড়কের এই সেতুটির মাঝখানের পাটাতন ভেঙে বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় পুরো সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। ভাঙ্গা সেতু পারাপারে শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটির ভাঙা অংশে কাঠের তৈরি দুটি মাচা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সেতুর রেলিং ভেঙে রড বেরিয়ে এসেছে। দেড় বছর যাবৎ এভাবেই ভেঙে পড়ে আছে। সিএনজি-অটোরিকশাসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সেতুটি মেরামত অথবা পুনর্র্নিমাণের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি, কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

রউফ শাহী হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি জাকির হোসেন জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন এভাবে ভাঙা পড়ে থাকায় এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করতে হয়।

স্বাস্থ্য সহকারী এফআই রাব্বী জানান, বিকল্প কোনো রাস্তা অথবা সেতু না থাকায় আশপাশের ৩ গ্রামের মানুষকে এ সেতু ব্যবহার করতে হয়। লোকজনের নিরাপদ চলাচলের স্বার্থে সেতুটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত জরুরি।

নতুনহাটি মোবারক হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুমিনুল হক গোলাপ মিয়া জানান, দেড় বছর আগে সেতুটি ভেঙেছে, এখনও মেরামত অথবা পুনর্র্নিমাণের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিদিন স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা এ সেতু দিয়েই স্কুলে আসা-যাওয়া করে। শঙ্কায় থাকি কোনো বড় দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। সেতুটির এ দুরবস্থা নিয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলেও কেউ খোঁজখবর নেয়নি। খবর প্রকাশ হলেও সেতু সংস্কার হয় না।

চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, সেতুটির ভাঙা অংশের ওপর এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের মাচা বানিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ মাচার ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। জরুরি ভিত্তিতে এ সেতুটি পুনর্র্নিমাণ এখন এলাকার জনদাবি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সেতুটির সমস্যার কথা আগেই জেনেছি, সুযোগ করে খোঁজখবর নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীন বলেন, এই সেতুটির সমস্যার বিষয়ে আমি অবগত আছি, সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া