মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ইউরোপে ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছে

যোগাযোগ ডেস্ক
আপডেট : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ইউরোপে ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছে
সংগৃহিত ছবি

অবশেষে ফের উড্ডয়নের বিষয়ে খানিকটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের নির্মাতা কোম্পানিটি। প্রাণঘাতী দুটি দুর্ঘটনার পর ১৮ মাস ধরে গ্রাউন্ডেড অবস্থায় রয়েছে বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ।

সব ঠিক থাকলে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বোয়িংয়ের ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ ইউরোপে ফের আকাশে উড়বে। এ বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফএএ)।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিমান নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়নের বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে। খবর এএফপি।

বিবৃতি অনুসারে, সব ঠিক থাকলে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বোয়িংয়ের ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ ইউরোপে ফের আকাশে উড়বে। এ বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফএএ)। সংস্থাটির প্রধান জানিয়েছেন, তারা আগামী সপ্তাহে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করবেন।

মূলত পরপর দুই বছর দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে লায়ন এয়ারের ও ২০১৯ সালের মার্চে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে মারা যায় ৩৪৬ যাত্রী। এর পরই বোয়িং ও এফএএর সুখ্যাতি বিতর্কের মুখে পড়ে।

ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির (ইএএসএ) প্রধান প্যাট্রিক কাই এক ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় দেড় বছর পর এই প্রথমবারের মতো ম্যাক্স মডেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ এখন প্রায় শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে এ বছরের শেষ নাগাদ ম্যাক্স উড়োজাহাজকে পুনরায় পরিবহন সেবায় ফিরিয়ে আনা যায়। তবে এক্ষেত্রে উড়োজাহাজটিকে এখনো বেশকিছু বাধা অতিক্রম করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

আরও পড়ুন : সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ইউক্রেনে নিহত ২২

এদিকে বোয়িং এক বিবৃতিতে জানায়, ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সব ধরনের শর্ত পূরণ করছি। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো আমাদের সামনে যেসব প্রক্রিয়া হাজির করেছে, আমরা সেগুলো তাদের নির্দেশ মেনেই অনুসরণ করে আসছি। সত্যি বলতে, আমরা তাদের মূল্যায়নের প্রতি পদক্ষেপে কঠোর তদারকির প্রশংসা করছি। এখন তারাই ঠিক করবে যে ম্যাক্স ফের কবে থেকে সেবায় ফিরবে।

তবে কাইর মতে, ইএএসএ ও এফএএ একই সময়ে উড্ডয়নে অনুমতি দিলেও ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের ফ্লাইট পরিচালনা ঠিক কখন থেকে পুনরায় চালু হবে তা নির্ভর করছে বিভিন্ন দেশ ও বিমান পরিবহন সংস্থার ওপর। ম্যাক্স মডেলকে প্রথমে গ্রাউন্ডেড করে চীন। দেশটি পুনরায় এ মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়নের অনুমতি দিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই একটু দেরি করবে।

কারণ চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো ফ্লাইট টেস্ট শুরু করতে পারেনি। কিন্তু কাই আরো বলেন, পাইলটদের নতুন প্রক্রিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে একটি প্রশিক্ষণ মূল্যায়ন বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ওই মূল্যায়ন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই দেয়া হবে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এফএএ ও ইএএসএর পাশাপাশি কানাডা ও ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রকরা বোয়িংয়ের প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণের বিষয়ে একটি যৌথ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে। এফএএর মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেছিলেন, পরিকল্পনাটি জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য ‘অদূরভবিষ্যতে’ প্রকাশ করা হবে। আগামী সপ্তাহে এফএএর প্রশাসক স্টিভ ডিকসন ও তার সহযোগী ড্যান এলওয়েল সিয়াটলে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেবেন। এদের মধ্যে একটি টেস্ট ফ্লাইটে অংশ নেবেন ডিকসন।

এফএএ এরই মধ্যে জনসাধারণের মন্তব্য মূল্যায়ন করছে। তাছাড়া সব ধরনের পরীক্ষার পর নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনোভাবেই ম্যাক্স উড়োজাহাজকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়া হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া