বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

বেহাল হালুয়াঘাট ধারা বাজার-বাবুর বাজার সড়ক

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আপডেট : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
বেহাল হালুয়াঘাট ধারা বাজার-বাবুর বাজার সড়ক
বেহাল সড়কের চিত্র

চার কিলোমিটার সড়কটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য। যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাঁটাও মুশকিল। সড়কটি এখন এলাকার মানুষের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে গেছে। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা বাজার বাইপাস মোড় থেকে বাবুর বাজার সড়কটি খানা-খন্দে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে আছে।

২০০৬ সালে ৬ কিলোমিটার মাটিঁর কাঁচা রাস্তায় ইট ও বালি দিয়ে হেরিংবোন রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিছুদিন রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা গেলেও ধীরে ধীরে তা নষ্ট হতে শুরু করে। পরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাস্তার ২ কিলোমিটার পাকাকরণ হলেও বাকি চার কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়নি এখনো।

রাস্তাটি দিয়ে ধারা, নড়াইল ও স্বদেশী ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল। রিকশা, ভ্যান, অটো, প্রাইভেট কারসহ ছোটখাট গাড়িগুলো এ-রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না।

আরও পড়ুন : আগৈলঝাড়া বাজারের সড়কের বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ

ফলে এই এলাকার কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, অসুস্থ রোগী আনা-নেওয়াসহ নানা কাজে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা ছাড়া বাকি চার কিলোমিটার হেরিংবোন রাস্তার ইট ভেঙে গিয়ে চলাচলে ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে।

বাবুর বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের কাঁচা রাস্তাই ভালো ছিল। যখন থেকে রাস্তায় ইট দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকে আমাদের ভোগান্তি দ্বিগুণ বেড়েছে। আগে রিকশা দিয়ে চলাচল করা যেত, পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য ভ্যান চলত। এখন ভাড়া মোটরসাইকেল ছাড়া কিছুই চলে না রাস্তা দিয়ে।

কুমুরিয়া গ্রামের আব্দুল হাই বলেন, রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এলাকার কেউ অসুস্থ হলে, কয়েক কিলোমিটার ঘুরে নড়াইল আলিশার রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিতে হয়। অথচ রাস্তাটি ভালো থাকলে আমাদের এই অসুবিধায় পড়তে হতো না।

রাস্তার ইটগুলোতে আছাড় খেয়ে অনেকেই আহত হচ্ছে। পায়ে হেঁটে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর। এর চেয়ে মাটির রাস্তা ভালো ছিল।

এ-রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালানো সাইদুল ইসলাম, তিনি বলেন, প্রায়ই মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা মানুষদের সেবা দিই। এ-রাস্তা দিয়ে চলাচলের কারণে সপ্তাহে সপ্তাহে মোটরসাইকেল মেরামত করতে হয়। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি- রাস্তাটি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা করা হয়।

রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ সাগর বলেন, এ-রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা পাকাকরণের প্রস্তাব ২০১৯ সালেও দেওয়া হয়েছে এবং ২০২০ সালেও আমরা নতুন করে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি প্রস্তাবটি পাস হলেই রাস্তার কাজ শুরু করা যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া

%d bloggers like this:
%d bloggers like this: