বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল উদ্ধারে নদীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি উদ্ধার হলে বুড়িগঙ্গা থেকে তুরাগ নদীতে যাওয়ার পথ সুগম হবে। পণ্য পরিবহন যেমন সহজ হবে তেমনি কমবে ব্যয়। নগরীর জলাবদ্ধতাও কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
পুরনো ঢাকার মুসলিমবাগ শহীদনগর, হাজারীবাগ, কালুনগর হয়ে শিকদার মেডিকেলের পেছন দিয়ে রায়েরবাগ পর্যন্ত ছিল নৌপথ। আশির দশকেও বুড়িগঙ্গা নদীর এই আদি চ্যানেল দিয়ে নৌযান চলাচল করতো।
বেড়িবাঁধ দেয়ার পর আস্তে আস্তে নদী হয়ে যায় খাল। এই আদি চ্যানেলের প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার জায়গার দু’পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। আছে বহুতল ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাস-ট্রাক-টেম্পুস্ট্যান্ড ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
মৃতপ্রায় এই চ্যানেল পুনরুজ্জীবিত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খনন কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তিন ধাপে এই চ্যানেলটি উদ্ধারের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে বলে জানান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
উচ্ছেদের পর আবার যাতে বেদখল না হয়, সে জন্য খালের দুই পাড়ে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি করা পরিকল্পনা আছে মিয়রের।
গত জুন মাসে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়।