Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন : ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জেএন.১। দ্রুত ছড়ানোর কারণে এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার জেএন.১ ধরন পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

তবে সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যে আরএসভির মতো বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং শিশুদের নিউমোনিয়ার হার বাড়তে দেখা গেছে।

কোভিডের জন্য দায়ী ভাইরাসটি শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রূপ পাল্টেছে। এর কয়েকটি ধরনও তৈরি হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বিশ্বজুড়ে অমিক্রন ধরনের আধিপত্য দেখা গিয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে অমিক্রন–সংশ্লিষ্ট জেএন.১-উপধরনসহ ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গুলোর সংক্রমণের হার শনাক্তের চেষ্টা করছে। যদিও এর কোনোটি উদ্বেগের নয়।

সম্প্রতি জেএন.১ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে আনুমানিক প্রায় ১৫ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশ মানুষ এই উপধরনে সংক্রমিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে প্রথম জেএন.১ শনাক্ত হয়।

যুক্তরাজ্যের হেলথ বলেছে, বর্তমানে একটি পরীক্ষাগারে যতগুলো করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসছে, তার প্রায় ৭ শতাংশের জন্য জেএন.১ দায়ী। সংস্থাটি আরও বলেছে, এ ধরন এবং অন্য ধরনগুলোর ব্যাপারে নতুন নতুন কী তথ্য পাওয়া যায়, সেদিকে নজর রাখছে তারা।

ধারণা করা হচ্ছে, অমিক্রনের আরেক উপধরন বিএ.২.৮৬ ধরনের তুলনায় জেএন.১-এর স্পাইক প্রোটিনের অতিরিক্ত পরিবর্তনের কারণে সব অঞ্চলে জেএন.১ দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিএ.২.৮৬ ধরন থেকেই জেএন.১-এর উৎপত্তি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঝুঁকিসংক্রান্ত এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে, যেসব দেশে শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে, সেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য সংক্রমণগুলোর পাশাপাশি এ ধরনের কারণে সারস-কভ-২ (করোনাভাইরাস) এর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।

ডব্লিউএইচও বলছে, টিকার কারণে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়, তা দিয়ে জেএন.১ থেকে কতটুকু সুরক্ষা মিলবে, সে ব্যাপারে খুব বেশি প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আগের ধরনগুলোর চেয়ে এ ধরনে সংক্রমণের কারণে মানুষ অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ হচ্ছে বলে খবর জানা যায়নি।

সংস্থাটি মনে করছে, স্বাস্থ্যের ওপর এ ধরনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগের দিন বুধবার কেরালায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩০০ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বর্তমানে ভারতজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজার ৬৬৯ জনে।

করোনা মহামারি প্রতিরোধে গঠিত ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন কোভিড টাস্ক ফোর্সের কো চেয়ারম্যান ডা. রাজীব জয়দেভান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, কেরালার কোচি অঞ্চলে গত কয়েক দিনে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত নানা উপসর্গের কারণে যারা হাসপাতালে এসেছেন, তাদের ৩০ শতাংশই শনাক্ত হয়েছেন করোনা পজিটিভ হিসেবে।

কেরালার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শ্রীজিৎ এন কুমার অবশ্য সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই উল্লম্ফণকে তেমন অস্বাভাবিক মনে করছেন না। এনডিটিভিকে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগের মতো করোনাকেও সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়। এটি শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ এবং শীতের সময় স্বাভাবিকভাবেই এর প্রকোপ বাড়ছে। অর্থাৎ, মহামারির শুরুর দিকে কোভিড যে ভয়াবহ চেহারা নিয়ে এসেছিল, এখন আর তা নেই। এটা এখন সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি ধরনে পরিণত হয়েছে।

আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে জানা গেছে, জেএন ডট ওয়ান নামে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন কেরালার সাম্প্রতিক সংক্রমণ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. মানসুখ মাণ্ডব্য বুধবার উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক আহ্বান করেছিলেন। সেই বৈঠকে কেরালার করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানকার রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র থেকে যাবতীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি, পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

জেএন ডট ১ মূলত করোনার অমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এই ধরনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ ক্যাটাগরিভুক্ত করেছে। পাশাপশি এক বিবৃতিতে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি বলেছে, জেএন ডট ১ সম্পর্কে এখনও খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে এই ভাইরাসটির বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সংক্রমণ ও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো-

১. জনাকীর্ণ ও বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।

২. কাশি বা হাঁচির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

৩. কোভিড এবং টিকার নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে। বিশেষ করে, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন।

৪. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন।

৫. লক্ষণ দেখা দিলে রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন : ডব্লিউএইচও

প্রকাশের সময় : ০৪:২৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে জেএন.১। দ্রুত ছড়ানোর কারণে এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার জেএন.১ ধরন পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

তবে সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যে আরএসভির মতো বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং শিশুদের নিউমোনিয়ার হার বাড়তে দেখা গেছে।

কোভিডের জন্য দায়ী ভাইরাসটি শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রূপ পাল্টেছে। এর কয়েকটি ধরনও তৈরি হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বিশ্বজুড়ে অমিক্রন ধরনের আধিপত্য দেখা গিয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে অমিক্রন–সংশ্লিষ্ট জেএন.১-উপধরনসহ ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গুলোর সংক্রমণের হার শনাক্তের চেষ্টা করছে। যদিও এর কোনোটি উদ্বেগের নয়।

সম্প্রতি জেএন.১ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে আনুমানিক প্রায় ১৫ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশ মানুষ এই উপধরনে সংক্রমিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে প্রথম জেএন.১ শনাক্ত হয়।

যুক্তরাজ্যের হেলথ বলেছে, বর্তমানে একটি পরীক্ষাগারে যতগুলো করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসছে, তার প্রায় ৭ শতাংশের জন্য জেএন.১ দায়ী। সংস্থাটি আরও বলেছে, এ ধরন এবং অন্য ধরনগুলোর ব্যাপারে নতুন নতুন কী তথ্য পাওয়া যায়, সেদিকে নজর রাখছে তারা।

ধারণা করা হচ্ছে, অমিক্রনের আরেক উপধরন বিএ.২.৮৬ ধরনের তুলনায় জেএন.১-এর স্পাইক প্রোটিনের অতিরিক্ত পরিবর্তনের কারণে সব অঞ্চলে জেএন.১ দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিএ.২.৮৬ ধরন থেকেই জেএন.১-এর উৎপত্তি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঝুঁকিসংক্রান্ত এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে, যেসব দেশে শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে, সেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য সংক্রমণগুলোর পাশাপাশি এ ধরনের কারণে সারস-কভ-২ (করোনাভাইরাস) এর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।

ডব্লিউএইচও বলছে, টিকার কারণে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়, তা দিয়ে জেএন.১ থেকে কতটুকু সুরক্ষা মিলবে, সে ব্যাপারে খুব বেশি প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আগের ধরনগুলোর চেয়ে এ ধরনে সংক্রমণের কারণে মানুষ অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ হচ্ছে বলে খবর জানা যায়নি।

সংস্থাটি মনে করছে, স্বাস্থ্যের ওপর এ ধরনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগের দিন বুধবার কেরালায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩০০ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বর্তমানে ভারতজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজার ৬৬৯ জনে।

করোনা মহামারি প্রতিরোধে গঠিত ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন কোভিড টাস্ক ফোর্সের কো চেয়ারম্যান ডা. রাজীব জয়দেভান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, কেরালার কোচি অঞ্চলে গত কয়েক দিনে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত নানা উপসর্গের কারণে যারা হাসপাতালে এসেছেন, তাদের ৩০ শতাংশই শনাক্ত হয়েছেন করোনা পজিটিভ হিসেবে।

কেরালার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শ্রীজিৎ এন কুমার অবশ্য সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই উল্লম্ফণকে তেমন অস্বাভাবিক মনে করছেন না। এনডিটিভিকে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগের মতো করোনাকেও সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়। এটি শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ এবং শীতের সময় স্বাভাবিকভাবেই এর প্রকোপ বাড়ছে। অর্থাৎ, মহামারির শুরুর দিকে কোভিড যে ভয়াবহ চেহারা নিয়ে এসেছিল, এখন আর তা নেই। এটা এখন সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি ধরনে পরিণত হয়েছে।

আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে জানা গেছে, জেএন ডট ওয়ান নামে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন কেরালার সাম্প্রতিক সংক্রমণ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. মানসুখ মাণ্ডব্য বুধবার উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক আহ্বান করেছিলেন। সেই বৈঠকে কেরালার করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানকার রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র থেকে যাবতীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি, পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

জেএন ডট ১ মূলত করোনার অমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এই ধরনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ ক্যাটাগরিভুক্ত করেছে। পাশাপশি এক বিবৃতিতে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি বলেছে, জেএন ডট ১ সম্পর্কে এখনও খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে এই ভাইরাসটির বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সংক্রমণ ও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো-

১. জনাকীর্ণ ও বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।

২. কাশি বা হাঁচির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

৩. কোভিড এবং টিকার নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে। বিশেষ করে, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন।

৪. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন।

৫. লক্ষণ দেখা দিলে রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করতে হবে।