নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভোট বর্জনের তর্জন গর্জন গাড়ির হর্ণের মধ্যে হারিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের মানবাধিকার লঙ্ঘন, অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু মানুষ ভীত হয়নি। মানুষ পুরোপুরিভাবে নির্বাচনমুখী। বিএনপির অনেক কর্মী সমর্থকরাও নির্বাচন করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপির বহু নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির ভোট বর্জনের তর্জন গর্জন কেউ শুনেনি, সেটি গাড়ির হর্নের মধ্যে হারিয়ে গেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার জন্য যাদের দরজায় গিয়ে ধর্না দিত এখন তাদের দরজা বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনকে বর্জন করার যে আহ্বান জানিয়েছে সেটিতে কারো কোনো সাড়া নেই। এখন তারা লিফলেট বিতরণ করা শুরু করেছে। এই লিফলেট বিতরণেও কারো কোনো সাড়া নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে নির্বাচনী ঝড় বইছে। মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বিশ্ববাসীও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করার কারণে ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবজার্ভার পাঠিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবজার্ভার পাঠিয়েছে, ওআইসি অবজার্ভার পাঠিয়েছে, সার্কভুক্ত দেশগুলো অবজার্ভার পাঠিয়েছে এবং পাঠাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় টিম আগামী ৫ তারিখ বাংলাদেশে আসবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। বিভিন্ন সিভিল সমাজ বড় একটি বেসরকারি টিম দেশে আসবে। সমগ্র পৃথিবী এই নির্বাচনকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে কারণেই বিভিন্ন দেশ থেকে এদেশে অবজার্ভার পাঠানো হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, নির্বাচন বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড, নির্বাচনে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করার জন্য এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ এবং মাঝেমধ্যে চোরাগুপ্তা যে মিছিল করা হয় এগুলো নজরে এনে আশা করি নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের শক্তি, দৃঢ়তা, সক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। তারা বাংলাদেশের বেশিরভাগ ওসি ট্রান্সফার করেছেন, ইউএনও ট্রান্সফার করেছেন। নির্বাচন কমিশন এগুলোর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে দৃঢ়তা প্রকাশ তা করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।