নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৪ বছরে বিএনপির আন্দোলনকে ম্লান করে দিয়েছে এক পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু সম্প্রসারিত করেছে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত।
রোববার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সেতু ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগে নবদুয়ার খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে তা সংরক্ষণে সকলকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপির জনসমর্থন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে কিনা তা ভেবে দেখা উচিত।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানে কোথাও লেখা নেই এটা হলে একতরফা হবে, ওটা হলে অংশগ্রহণমূলক হবে। ইলেকশন ইলেকশনই। ইলেকশনের নিয়মটা সংবিধানে সন্নিবেশিত আছে। নিয়ম অনুযায়ী ইলেকশন হবে। কাউকে বাদ দিয়ে ইলেকশন করার অভিপ্রায় সরকারের নেই। আমরা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই।
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির নেতাদের মুখে সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আসলে তারা তো নিজেরাই বলে যে, আমরা সরকারের দালাল হয়ে গেছি, তাদের নেতারাই বলেছে। এখন তারা এই অপবাদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চায়। হয়ত সেই কারণে আমাদের বিরুদ্ধে বলছে।
দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, সারা দুনিয়ার মতোই আমরাও সংকটে পড়েছি। দ্রব্যমূল্য, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি; আমাদের অর্থনীতি যে সংকটে পড়েছে, আমি যদিও বলি এটা আমাদের সাময়িক বিপদ এবং আজকে বিশ্বে জ্বালানি ও জাহাজ ভাড়া আস্তে আস্তে কমতে শুরু করছে। আমরা আশা করছি, আগামী চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে ইনশাল্লাহ আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিতি ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলামসহ সেতু বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।