Dhaka শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড্ডার বাসায় বিস্ফোরণে নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মধ্যবাড্ডার ডিআইটি রোডে একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী এক নারী। নিহতের নাম সোলেমান (৩০) আর দগ্ধ নারীর নাম শান্তা বেগম (২৭)। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ডিআইটি ৪ নম্বর রোড খোকন দারোগার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং দগ্ধ নারীকে হাসপাতালে পাঠায়। রান্নাঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে অথবা সুয়ারেজ লাইনের বিষাক্ত গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে খবর পেয়ে বারিধারার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটির নিচতলায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এ সময় ওই বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবকের মরদেহ।

সৈয়দ মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, নিচ তলার বাসার রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইনের পাইপ থেকে লিক হয়ে গ্যাস জমে ছিল অথবা বাসার সামনে সুয়ারেজ লাইন থেকে বিষাক্ত গ্যাস ওই বাসায় জমে ছিল। সেখান থেকেই সকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিস্তারিত আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, হাসপাতালে দগ্ধ শান্তার স্বামী মো. নাসির হাওলাদার জানান, ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা স্বামী-স্ত্রী। শান্তা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর নাসির মাছের আড়তে কাজ করেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিলেন তারা। ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই কাজে চলে যান নাসির। তখনো ঘুমিয়ে ছিলেন শান্তা। কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান, তাদের বাসায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন দগ্ধ অবস্থায় পরে আছে শান্তা। তাঁর সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে। তাকে ভিড় করে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তখন তিনি শান্তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

নাসির হাওলাদার বলেন, গত বুধবার রাতে বাসায় গ্যাসের গন্ধ পান। গন্ধটি তাদের বাসার রান্নাঘরের থেকেও বের হতে পারে অথবা বাসার সামনে রাস্তা খুঁড়ে যেই কাজ চলছিল সেখান থেকেও গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে।

বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, মৃত সোলায়মানের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পলাশতলি গ্রামে। বাবার নাম মনসুর আলী। তিনি ওই বাসার বিপরীত পাশে বাড্ডা কাবাব রেস্তোরায় কাজ করত। সেখানেই থাকতেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দগ্ধ শান্তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার তরিকুল ইসলাম বলেন, বাড্ডা থেকে সকালে এক নারীকে দগ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আবহাওয়া

বাড্ডার বাসায় বিস্ফোরণে নিহত ১

প্রকাশের সময় : ১১:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মধ্যবাড্ডার ডিআইটি রোডে একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী এক নারী। নিহতের নাম সোলেমান (৩০) আর দগ্ধ নারীর নাম শান্তা বেগম (২৭)। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ডিআইটি ৪ নম্বর রোড খোকন দারোগার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং দগ্ধ নারীকে হাসপাতালে পাঠায়। রান্নাঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে অথবা সুয়ারেজ লাইনের বিষাক্ত গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে খবর পেয়ে বারিধারার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটির নিচতলায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এ সময় ওই বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবকের মরদেহ।

সৈয়দ মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, নিচ তলার বাসার রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইনের পাইপ থেকে লিক হয়ে গ্যাস জমে ছিল অথবা বাসার সামনে সুয়ারেজ লাইন থেকে বিষাক্ত গ্যাস ওই বাসায় জমে ছিল। সেখান থেকেই সকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিস্তারিত আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, হাসপাতালে দগ্ধ শান্তার স্বামী মো. নাসির হাওলাদার জানান, ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা স্বামী-স্ত্রী। শান্তা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর নাসির মাছের আড়তে কাজ করেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিলেন তারা। ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই কাজে চলে যান নাসির। তখনো ঘুমিয়ে ছিলেন শান্তা। কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান, তাদের বাসায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন দগ্ধ অবস্থায় পরে আছে শান্তা। তাঁর সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে। তাকে ভিড় করে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তখন তিনি শান্তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

নাসির হাওলাদার বলেন, গত বুধবার রাতে বাসায় গ্যাসের গন্ধ পান। গন্ধটি তাদের বাসার রান্নাঘরের থেকেও বের হতে পারে অথবা বাসার সামনে রাস্তা খুঁড়ে যেই কাজ চলছিল সেখান থেকেও গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে।

বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, মৃত সোলায়মানের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পলাশতলি গ্রামে। বাবার নাম মনসুর আলী। তিনি ওই বাসার বিপরীত পাশে বাড্ডা কাবাব রেস্তোরায় কাজ করত। সেখানেই থাকতেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দগ্ধ শান্তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার তরিকুল ইসলাম বলেন, বাড্ডা থেকে সকালে এক নারীকে দগ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।