Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনা দেশটাকে বদলে দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। তিনি দেশকে চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। একটা সময় দেশ কোথায় ছিল আর আজ কোথায় আছে চারদিকে তাকালেই দেখা যায়। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মহান স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে আন্দোলন করে স্বাধীনতার জায়গা তৈরি করেছেন। এরপর স্বাধীনতাও এনে দিয়ে গেছেন। আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানান। তরুণদের কাছে ইতিহাস তুলে ধরুন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভারত সরকার এই দিনে এক কোটি মানুষের জায়গায় করে দিয়েছিল। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। দেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্ম সফলভাবে অংশ নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু অনিবার্যভাবে একে অপরের পরিপূরক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও একটি স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। পরবর্তী সময়ে তাঁর নেতৃত্ব ও ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ তৈরি হয়েছিল।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান শহীদ এবং সাবেক সহকারী কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:১২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনা দেশটাকে বদলে দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। তিনি দেশকে চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। একটা সময় দেশ কোথায় ছিল আর আজ কোথায় আছে চারদিকে তাকালেই দেখা যায়। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মহান স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে আন্দোলন করে স্বাধীনতার জায়গা তৈরি করেছেন। এরপর স্বাধীনতাও এনে দিয়ে গেছেন। আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানান। তরুণদের কাছে ইতিহাস তুলে ধরুন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভারত সরকার এই দিনে এক কোটি মানুষের জায়গায় করে দিয়েছিল। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। দেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্ম সফলভাবে অংশ নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু অনিবার্যভাবে একে অপরের পরিপূরক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও একটি স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। পরবর্তী সময়ে তাঁর নেতৃত্ব ও ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ তৈরি হয়েছিল।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান শহীদ এবং সাবেক সহকারী কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।