শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন

বাঁশের সাঁকোয় ভরসা ১৫ গ্রামের মানুষের

পাবনা জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
বাঁশের সাঁকোয় ভরসা ১৫ গ্রামের মানুষের

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তানি আমল, বাংলাদেশ আমলেরও প্রায় তেপ্পান্ন বছর কেটে গেল; তবুও সেতু হলো না পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মরা করতোয় নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুর সেতু। ফলে এ নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শত শত বছর ধরে। বছরের প্রায় আট মাস নৌকায় এবং বাকি চার মাস বাঁশের সাঁকোতে অতি কষ্টে পারাপার হতে হচ্ছে নদী। বহরমপুর ও বেলগাছি এ দুটি গ্রামের চারপাশেই নদী থাকায় গ্রাম দুটি উন্নয়ন বঞ্চিতও হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর পশ্চিম পাড়ে বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুর, বহরমপুরসহ আরও বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে। পূর্ব পাড়ের মির্জাপুরে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, নিমাইচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ব্যাংকসহ এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট।

এ ছাড়া আরও বেশ কিছু গ্রামের অবস্থান নদীর পূর্ব পাড়ে। বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাড়ের মানুষকে পূর্ব পাড়ে এবং পূর্ব পাড়ের মানুষকে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। নদী পারাপারে ১০ থেকে ১২টি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় ভরসা রাখতে হচ্ছে।

বহরমপুর গ্রামের এহিয়া আলী জানান, বর্ষাকালে এ এলাকার মানুষকে খেয়া নৌকার অপেক্ষায় নদী পাড়ে বসে অপেক্ষা করতে হয়। নদীর পানি কমে গেলে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এ সময় সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হতে হয় তাদের। অসুস্থ রোগী, অন্তঃসত্ত্বাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। শিশু, বৃদ্ধরা ও বিড়ম্বনার শিকার হন নদী পারাপারের সময়।

গৌড়নগর গ্রামের মজিবর রহমান জানান, বগালালী ও মরা করতোয়া নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুর ব্রিজ না হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষকে প্রতিদিন কষ্ট করতে হচ্ছে। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, মির্জাপুর হাটসহ ইউনিয়ন সদরে যাতায়াত করতে ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জনদুর্ভোগ কমাতে, জীবনমান উন্নয়নে এলাকাবাসী দ্রুত বহরম-মির্জাপুর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঊর্ধ্বতন দপ্তরে আটটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তার মধ্যে এ সেতুর প্রস্তাবনাও রয়েছে। এখনো সমীক্ষা, যাচাই-বাছাই হয়নি। আশা করছি আগামীতে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেতু নির্মিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া