মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

বন্যার পানি বাড়ছে : দুর্ভোগে ৮ লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০
জামালপুরে বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা

জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, দশআনী, জিঞ্জিরামসহ অন্যান্য শাখা নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ ও পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বন্যা কবলিত এলাকাবাসী জানান, বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি মানুষ পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত গরু ছাগল নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে পানি উঠে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের র্তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাঁধে বা উঁচু নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের হিসেবে জেলার ৭ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫১টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকেছে ৮টি পৌরসভার মধ্যে ৭টিতেই। সব মিলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৮ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী বলেন, জেলার ৬১টি আশ্রয় কেন্দ্রে নয় হাজার ৭২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য আরো সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুর্গতদের জন্য নতুন করে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, দুর্গতদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য কাজ ৮০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বন্যা কবলিত এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া