মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

বন্যায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজ দেড় বছরেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি, ভোগান্তি ২০ গ্রামের মানুষের

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
আপডেট : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
বন্যায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজ দেড় বছরেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি, ভোগান্তি ২০ গ্রামের মানুষের

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বন্যার তোড়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজ দেড় বছরেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ। যদিও স্থানীয়দের সহায়তায় ভাঙা ব্রিজের পাশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থী, পথচারী ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে প্রতিদিন ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের তেঁতুলতলা বাজারের সন্নিকটে কামাল খামার ডারারপাড় মোড়ে দেড় বছর আগে জরাজীর্ণ ব্রিজটি বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। পর স্থানীয়দের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন দুর্গাপুর ইউনিয়নের ডারারপাড় এলাকার কামাল খামার, ইসলামপুর, আমবাড়ি, তালেরতল এবং ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের জান জায়গীর, মাঝবিল ও বাকারা মধুপুর গ্রামের কয়েকশ যানবাহনসহ হাজারো পথচারী যাতায়াত করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় প্রতিদিন ঘটছে ছোটখাটো নানা দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫০ বছর আগে ইসলামপুর গ্রাম থেকে তেঁতুলতলা বাজার সড়কে চতলা বামনি নদীর সংযোগ মুখে প্রায় ১২ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের বন্যায় ব্রিজের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে সেটি ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ধরণীবাড়ি ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের আশপাশের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ উপজেলা শহরে আসা-যাওয়া করে। এছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মিশুক গাড়ি, ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল চলাচল করে।

পথচারী আকবর আলী, রফিকুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, আব্দুল বারী, আব্দুল ওহাব জানান, এ রাস্তাটি গ্রামের হলেও প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের গাড়ি যাতায়াত করে। আর প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। যানবাহন চলতে অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টির সময় আরও বেশি অসুবিধা হয়।

কামাল খামার তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন ও শামীম মিয়া জানায়, ব্রিজ না থাকায় বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে স্কুল যেতে আমাদের খুব ভয় লাগে। তবুও কষ্ট করে স্কুলে যেতে হয়।

কামাল খামার তেতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়।

দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ভাঙা ব্রিজটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করছি। ব্রিজটি অতিদ্রুত নির্মাণ করা উচিত।

উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। অনুমোদন পেলে সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া