Dhaka শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কখনোই আমরা শোধ করতে পারবো না : পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কখনোই আমরা শোধ করতে পারবো না। তবে তিনি যে ধরনের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে ধরনের বাংলাদেশ যদি আমরা নির্মাণ করতে পারি তাহলে তার (বঙ্গবন্ধুর) আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। আমরা যারা বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবি, যে পর্যায়ে দেশকে দেখতে চাই ইন শা আল্লাহ আমরা দেখতে পাবো।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মন্ত্রণালয় কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ আমাদের মুক্তির সংগ্রামে যাদেরকে হারিয়েছি তাদের সকলকে সঠিক শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধু একটি দেশকে স্বাধীন করে যাননি। সে দেশ আগামীতে কোনো পথে চলবে, কিসের ওপর ভর করে দেশের উন্নয়ন হবে, সে বিষয়গুলো তিনি আমাদেরকে দিয়ে গেছে সংবিধানে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। পাকিস্তানের শাসন পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির কথা চিন্তা করেছিলেন। বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের স্বার্থে কোনো বিভাজন থাকতে পারে না। দেশের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালি স্বাধীন হলেও শত্রুমুক্ত হয়নি। না হলে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হতো না। জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হতো না। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য এবং জাতির পিতা ও চার নেতা হত্যা করে নেতৃত্বশূন্য করা হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। রিওতে অনুষ্ঠিত প্রথম ধরিত্রী সম্মেলনের ২০ বছর আগেই বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা রাজনীতি করছে তাদের মধ্যে ভিন্নতা থাকা উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। পরিকল্পনা, চিন্তা-ভাবনায় ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু যেটা ইতিহাস তা স্বীকার করে নিতে হবে।

তিনি বলেন, পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণে তিনি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ ও নির্মল পরিবেশের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে সাবের হোসেন বলেন, তিনি প্রায়ই একটি কথা বলেন, “আমরা যে উন্নয়নগুলো এখন করছি বা বিভিন্ন পরিকল্পনা করছি তার মূল ভিত হচ্ছে ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর সরকারের। ” অর্থাৎ প্রাথমিক পথগুলো তিনি আমাদের দেখিয়ে গেছেন। আমরা এখন সেই পথেই অনুসরণ করছি। সত্যিকার অর্থে সার্বিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে ধরনের জাতীয় ঐক্য ছিল, এখনও আমাদের সেই ধরনের ঐক্যের প্রয়োজন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চার ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক : নুর

বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কখনোই আমরা শোধ করতে পারবো না : পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কখনোই আমরা শোধ করতে পারবো না। তবে তিনি যে ধরনের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে ধরনের বাংলাদেশ যদি আমরা নির্মাণ করতে পারি তাহলে তার (বঙ্গবন্ধুর) আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। আমরা যারা বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবি, যে পর্যায়ে দেশকে দেখতে চাই ইন শা আল্লাহ আমরা দেখতে পাবো।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মন্ত্রণালয় কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ আমাদের মুক্তির সংগ্রামে যাদেরকে হারিয়েছি তাদের সকলকে সঠিক শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধু একটি দেশকে স্বাধীন করে যাননি। সে দেশ আগামীতে কোনো পথে চলবে, কিসের ওপর ভর করে দেশের উন্নয়ন হবে, সে বিষয়গুলো তিনি আমাদেরকে দিয়ে গেছে সংবিধানে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। পাকিস্তানের শাসন পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির কথা চিন্তা করেছিলেন। বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের স্বার্থে কোনো বিভাজন থাকতে পারে না। দেশের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালি স্বাধীন হলেও শত্রুমুক্ত হয়নি। না হলে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হতো না। জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হতো না। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য এবং জাতির পিতা ও চার নেতা হত্যা করে নেতৃত্বশূন্য করা হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। রিওতে অনুষ্ঠিত প্রথম ধরিত্রী সম্মেলনের ২০ বছর আগেই বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা রাজনীতি করছে তাদের মধ্যে ভিন্নতা থাকা উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। পরিকল্পনা, চিন্তা-ভাবনায় ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু যেটা ইতিহাস তা স্বীকার করে নিতে হবে।

তিনি বলেন, পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণে তিনি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ ও নির্মল পরিবেশের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে সাবের হোসেন বলেন, তিনি প্রায়ই একটি কথা বলেন, “আমরা যে উন্নয়নগুলো এখন করছি বা বিভিন্ন পরিকল্পনা করছি তার মূল ভিত হচ্ছে ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর সরকারের। ” অর্থাৎ প্রাথমিক পথগুলো তিনি আমাদের দেখিয়ে গেছেন। আমরা এখন সেই পথেই অনুসরণ করছি। সত্যিকার অর্থে সার্বিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে ধরনের জাতীয় ঐক্য ছিল, এখনও আমাদের সেই ধরনের ঐক্যের প্রয়োজন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।