চট্টগ্রামে বন্দর ফ্লাইওভার চালুর পর পেরিয়েছে দশ বছর। কিন্তু পণ্যবাহী ভারী যান চলাচলকারী এই উড়ালসড়কে এতদিনেও করা হয়নি কোন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ। ফলে প্রায় সবগুলো এক্সপানশন জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দুটি জয়েন্ট বীমেও দেখা দিয়েছে ফাটল। প্রতিনিয়ত যানবাহনের ঝাঁকুনিতে বাড়ছে ঝুঁকি।
প্রতিদিন পণ্যবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ আর বের হয় এই ফ্লাইওভার হয়ে। তাতে থাকে কয়েকশো গাড়ির চাপ। কিন্তু ফ্লাইওভারের প্রায় পুরোটা জুড়ে ছোটখাটো বিভিন্ন ক্ষতের পাশাপাশি বড় বড় গর্ত হয়ে আছে এক্সপানশন জয়েন্টগুলোতে।
গর্ত হয়ে যাওয়ায় অনেক স্থানে বের হয়ে গেছে জয়েন্টে থাকা স্টিলের পাতগুলোও। চালকদের অভিযোগ, ফ্লাইওভারে ভগ্নদশার কারণে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির স্প্রিং, চাকাসহ নানা যন্ত্রাংশ।
ইউএসটিসি উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ফ্লাইওভারকে যেহেতু ভারী যানবাহনের চাপ নিতে হয়, তাই রক্ষণাবেক্ষণ না হলে বাড়বে ঝুঁকি।
এডিবির অর্থায়নে ২০১২ সালে এটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তারপর গত দশ বছরে বন্দরের আওতাধীন এই ফ্লাইওভারের কোন রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। এটি সংস্কারে বন্দর কর্তৃপক্ষ আর সড়ক বিভাগের মধ্যে চিঠি চালাচালি হলেও; হচ্ছেনা কাজ।
চট্টগ্রাম সার্কেলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, ১৭ এবং ১৮ নম্বর পিলারের বিমে আগুন লাগাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ এই ফ্লাইওভারটি সড়ক ও জনপদের কাছে হস্তান্তর করে। শিগগিরই এটার মেরামত কাজ শুরু হবে।
শুধু ক্ষতবিক্ষত আর ভগ্নদশাই নয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুলাবালির স্তূপ জমে আছে ১৪শ ২০ মিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারের উপরে দুই পাশে।