সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
তিন মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টায় শহরের বাজার স্টেশন থেকে ট্রেনটি চলাচল শুরু করেছে। তবে ছুটির দিন থাকায় ট্রেনে যাত্রী তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন পর ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা বলেন, জেলা শহরে থেকে চলাচল করা একমাত্র ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার ফলে ঢাকায় যাতায়াত করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হতো। দীর্ঘদিন পর ট্রেনটি চালু হওয়ায় ভোগান্তি থেকে মুক্ত হলাম। সকালের ট্রেনে ঢাকায় গিয়ে কাজকর্ম সেরে বিকেলের ট্রেনেই ফেরা যায়। তবে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি যেন লোকালের মতো এ রুটের সব ট্রেনকেই ক্রসিং করে সময়ক্ষেপণ না করে সেই দাবিও জানান যাত্রীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ৪ আগস্ট হঠাৎ করেই সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ট্রেনটি চালুর দাবিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন।
মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, সাংস্কৃতিক পদযাত্রার পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও চলতে থাকে। অবশেষে ট্রেনটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস আবার চালু করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, এ ট্রেন চালুসহ উত্তরাঞ্চলের সব ট্রেন শহর হয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটি চালু হয়েছে। এ জন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে নতুন যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ চালুর মাধ্যমে রায়পুর জংশন হয়ে শহরের ভেতর দিয়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশী) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০ নভেম্বরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনটিও চালু করা হবে।