নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের দিন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে মনে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা এই মামলা রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছি।
শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) আয়োজিত ‘কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ছায়া সংসদ’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে বিক্ষিপ্ত কিছু জনতা ভাঙচুর করেছে। এ সময় অফিস ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গ্রেফতারদের সঙ্গে ভিডিও ফুটেজের অনেকের চেহারার মিল আছে। আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ফায়ার সার্ভিসে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করব। এখানে অন্য কোনো পরিকল্পনা, ভিন্ন কোনো দৃষ্টিকোণ ও ভিন্ন কোনো গোষ্ঠীর থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তথ্য পেলে জানাব।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বঙ্গবাজারের আগুন লাগার স্থানে বহুতল ভবন করার কথা ছিল। ব্যবসায়ীদের একাংশ এখানে বহুতল ভবন করার বিপক্ষে। তাদের (ব্যবসায়ীদের) মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে আগুন লাগে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বঙ্গবাজারে আগুন লাগার কারণ কি, সেটা নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগুন লাগার কারণ তারাই তদন্ত করছেন।
ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিদের ধরতে কেন দেরি, এমন প্রশ্নে গোলাম ফারুক বলেন, আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই নিয়ে তদন্তে তাদের আইনের আওতায় আনতে সময় লাগছে। কারণ তারা স্বাভাবিক মোবাইল বা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে না।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অপারেশনে যারা জড়িত ছিল তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা অপারেশনে জড়িত ছিল তাদেরকে আগে গ্রেফতার করতে পেরেছি। আমার ধারণা, যে দুজন জঙ্গি পালিয়ে আছে, তাদের আমরা শিগগিরই গ্রেফতার করতে পারব।