Dhaka সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফারজানার সেঞ্চুরি ছাপিয়ে সমতায় দ. আফ্রিকা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৭৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

একই দিনে পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি করলেন। কিন্তু একটি সেঞ্চুরিও কাজে লাগলো না। ম্লান হয়ে গেলো নিজ নিজ দলের পরাজয়ের মধ্য। বুধবার ভোরে যে আক্ষেপে পুড়েছিলেন সৌম্য, রাতে ঠিক একই আক্ষেপে পুড়লেন ফারজানা পিংকইও। দুজনেই দলের হয়ে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি, দুজনেই ছিলেন ওপেনার।

বুধবার ভোরে দেশের মানুষ ঘুম থেকে উঠেই দেখে নেলসনে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য সরকার। ১৫১ বলে ১৬৯ রানের অনবদ্য একটি ইনিংসও খেলেছেন তিনি। কিন্তু ম্যাচ শেষে ৭ উইকেটে জয়ী স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ১৬৯ রানের বিশাল স্কোরের ইনিংস খেলেও সৌম্য সরকারকে থাকতে হলো পরাজিতের দলে।

দিনের শেষ অংশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করলেন নারী ক্রিকেটার ফারজানা হক। তার খেলা ১০২ রানের ইনিংসটিও কোনো কাজে লাগলো না। স্বাগতিকদের কয়েকজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কাছে হেরে গেলো বাংলাদেশ। বিফলে গেলো ফারজানা হকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটিও।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের গড়া ২২২ রানের ইনিংস ৪৫.১ ওভারেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়া নারীরা।

২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের দুই ওপেনার শুরু থেকেই ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দ। ১০৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন তারা দুজন। এ সময় ৮৪ বল খেলে ৫০ রান করে আউট হন তাজমিন ব্রিটস। রিতু মনির বলে মারুফা আক্তার ক্যাচ ধরেন।

একই রানে বসিয়ে আরেক ওপেনার এবং অধিনায়ক লরা ভোলভারডটকে সাজঘরে ফেরান ফাহিমা খাতুন। ৬৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর আর প্রোটিয়াদের কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আনিকা বোস এবং সানে লাস মিলে গড়ে তোলেন ১১৭ রানের আরও একটি দুর্দান্ত জুটি। ৬৩ বলে ৬৫ রান করেন আনিকা বোস এবং ৫৭ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সানে লাস।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা হক। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপরই ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন শামিমা। পরে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা মুর্শিদাকে নিয়ে দেখে শুনে খেলে এগোতে থাকেন আরেক ওপেনার ফারজানা। তবে দ্বিতীয় জুটিতে ১৫ রান করতেই সাজঘরের পথ ধরেন মুর্শিদা।

আগের দিন ৯১ রানের তান্ডব ইনিংস খেলা মুর্শিদা আজ থামেন মাত্র ৮ রানেই। এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে নিয়ে সামনের দিক এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওপেনার ফারজানা। এই দুই জনের অর্ধশতরানে জুটিতে বড় সংগ্রহের দিক এগোতে থাকে টাইগ্রেসরা। তবে দলীয় ১২১ রানের অধিনায়ক নিগার আউট হলে ভাঙে ৫৮ রানের এই জুটি।

সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ১৩ রান করেন এই ব্যাটার। এরপত চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে নামেন ফাহিমা খাতুন। তাকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রসী ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনার ফারজনা। উইকেটে থিতু হয়ে প্রোটিয়া বলারদের ওপর আগ্রসী হতে থাকেন ফাহিমা খাতুনও। এদিকে আগ্রসী ব্যাটিং করা ফারজানা তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। এছাড়া বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে ওয়ানডেতে দুটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ফারজানা হক।

তবে শতকের পর রান আউটে কাটা পরে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১০২ রান করেন ফারজানা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের সংগ্রহ পায় নিগার সুলতানার দল। ৪৬ রানে ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে মারিজানে কেপ নেন ২টি উইকেট এছাড়া মাসাবাতা ক্লাস নেন ১টি উইকেট।

প্রোটিয়াদের এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। ২৩ ডিসেম্বর তাই শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো সিরিজ নির্ধারণী তথা ফাইনাল ম্যাচে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফারজানার সেঞ্চুরি ছাপিয়ে সমতায় দ. আফ্রিকা

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

একই দিনে পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি করলেন। কিন্তু একটি সেঞ্চুরিও কাজে লাগলো না। ম্লান হয়ে গেলো নিজ নিজ দলের পরাজয়ের মধ্য। বুধবার ভোরে যে আক্ষেপে পুড়েছিলেন সৌম্য, রাতে ঠিক একই আক্ষেপে পুড়লেন ফারজানা পিংকইও। দুজনেই দলের হয়ে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি, দুজনেই ছিলেন ওপেনার।

বুধবার ভোরে দেশের মানুষ ঘুম থেকে উঠেই দেখে নেলসনে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য সরকার। ১৫১ বলে ১৬৯ রানের অনবদ্য একটি ইনিংসও খেলেছেন তিনি। কিন্তু ম্যাচ শেষে ৭ উইকেটে জয়ী স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ১৬৯ রানের বিশাল স্কোরের ইনিংস খেলেও সৌম্য সরকারকে থাকতে হলো পরাজিতের দলে।

দিনের শেষ অংশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করলেন নারী ক্রিকেটার ফারজানা হক। তার খেলা ১০২ রানের ইনিংসটিও কোনো কাজে লাগলো না। স্বাগতিকদের কয়েকজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কাছে হেরে গেলো বাংলাদেশ। বিফলে গেলো ফারজানা হকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটিও।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের গড়া ২২২ রানের ইনিংস ৪৫.১ ওভারেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়া নারীরা।

২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের দুই ওপেনার শুরু থেকেই ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দ। ১০৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন তারা দুজন। এ সময় ৮৪ বল খেলে ৫০ রান করে আউট হন তাজমিন ব্রিটস। রিতু মনির বলে মারুফা আক্তার ক্যাচ ধরেন।

একই রানে বসিয়ে আরেক ওপেনার এবং অধিনায়ক লরা ভোলভারডটকে সাজঘরে ফেরান ফাহিমা খাতুন। ৬৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর আর প্রোটিয়াদের কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আনিকা বোস এবং সানে লাস মিলে গড়ে তোলেন ১১৭ রানের আরও একটি দুর্দান্ত জুটি। ৬৩ বলে ৬৫ রান করেন আনিকা বোস এবং ৫৭ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সানে লাস।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা হক। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপরই ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন শামিমা। পরে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা মুর্শিদাকে নিয়ে দেখে শুনে খেলে এগোতে থাকেন আরেক ওপেনার ফারজানা। তবে দ্বিতীয় জুটিতে ১৫ রান করতেই সাজঘরের পথ ধরেন মুর্শিদা।

আগের দিন ৯১ রানের তান্ডব ইনিংস খেলা মুর্শিদা আজ থামেন মাত্র ৮ রানেই। এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে নিয়ে সামনের দিক এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওপেনার ফারজানা। এই দুই জনের অর্ধশতরানে জুটিতে বড় সংগ্রহের দিক এগোতে থাকে টাইগ্রেসরা। তবে দলীয় ১২১ রানের অধিনায়ক নিগার আউট হলে ভাঙে ৫৮ রানের এই জুটি।

সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ১৩ রান করেন এই ব্যাটার। এরপত চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে নামেন ফাহিমা খাতুন। তাকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রসী ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনার ফারজনা। উইকেটে থিতু হয়ে প্রোটিয়া বলারদের ওপর আগ্রসী হতে থাকেন ফাহিমা খাতুনও। এদিকে আগ্রসী ব্যাটিং করা ফারজানা তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। এছাড়া বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে ওয়ানডেতে দুটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ফারজানা হক।

তবে শতকের পর রান আউটে কাটা পরে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১০২ রান করেন ফারজানা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের সংগ্রহ পায় নিগার সুলতানার দল। ৪৬ রানে ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে মারিজানে কেপ নেন ২টি উইকেট এছাড়া মাসাবাতা ক্লাস নেন ১টি উইকেট।

প্রোটিয়াদের এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। ২৩ ডিসেম্বর তাই শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো সিরিজ নির্ধারণী তথা ফাইনাল ম্যাচে।