Dhaka শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল স্রোতে বালু ক্ষয়ে বেরিয়ে এলো সাবমেরিন ক্যাবল!

সংগৃহিত ছবি

বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আর তীব্র স্রোতে বালুর নিচ থেকে উপরে উঠে এসেছে সাবমেরিন ক্যাবল। কলাপাড়ার লতাচাপলীর মাইটভাঙ্গা গ্রামে স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে এ ক্যাবল এখন দৃশ্যমান।

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সমুদ্রে ভাটার সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ভিড় করে সেখানে।

এদিকে দুপুরের পর থেকে স্থানীয় ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট সার্ভিসের গতি খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শেষ হতে না হতেই সমুদ্র সৈকতের বালুর ওপরে দেখা মেলে সাব মেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের ইন্টারনেট ক্যাবলের।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন বলেন, সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের কর্তৃপক্ষের যথাযথ, সময় উপযোগী কার্যকর ব্যবস্থা ছিল না। নিরাপত্তার বিষয়টি জোড়ালো না হওয়ায় সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এই দ্বিতীয় বারের মতো হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জমির মাটি কাটার সময় অপটিক্যাল ক্যাবলের পাওয়ার ক্যাবলটি কেটে যায়।

আরও পড়ুন : জয়ের রূপকল্পেই ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী

উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মৎস্যবন্দর আলীপুরের পূর্বাংশের কোল্ড স্টোরেজ পয়েন্ট থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা জমির মাটি কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে রক্ষা পায় ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেট সার্ভিস সরবরাহকৃত ফাইভার অপটিক্যাল ক্যাবলটি।

বৈদুতিক ক্যাবলটি কেটে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ণ ইউরোপের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) সঙ্গে দ্রুত ইন্টারনেট সার্ভিস বিপর্যস্ত হয়ে পরে। দীর্ঘ এই ১৩ ঘণ্টা পর ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হয়।

এব্যাপারে দ্বিতীয় সাবমেরিণ ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রের অস্বাবাবিক ঢেউ এবং স্রোতের কারণে কুয়াকাটা সৈকতের অস্বাভাবিক বালু ক্ষয় হয়েছে।

এমনকি বালু ক্ষয়ের কারণে বহু গাছ পালা সৈকতে উপড়ে পরেছে। বালু সড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট বেন্ডউইথ-এর সঞ্চালন প্রটেকশন ক্যাবল বের হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সমুদ্রের জোয়ারের পানি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় বের হওয়া ১০ থেকে ২০ ফুট ক্যাবল এলাকা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আবদ্ধ করেছি। ২০ ঘণ্টা পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার সাগরে ভাটার সময় যথাযথভাবে ক্যাবল রক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ ইসলাম

প্রবল স্রোতে বালু ক্ষয়ে বেরিয়ে এলো সাবমেরিন ক্যাবল!

প্রকাশের সময় : ০৬:১১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আর তীব্র স্রোতে বালুর নিচ থেকে উপরে উঠে এসেছে সাবমেরিন ক্যাবল। কলাপাড়ার লতাচাপলীর মাইটভাঙ্গা গ্রামে স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে এ ক্যাবল এখন দৃশ্যমান।

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সমুদ্রে ভাটার সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ভিড় করে সেখানে।

এদিকে দুপুরের পর থেকে স্থানীয় ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট সার্ভিসের গতি খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শেষ হতে না হতেই সমুদ্র সৈকতের বালুর ওপরে দেখা মেলে সাব মেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের ইন্টারনেট ক্যাবলের।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন বলেন, সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের কর্তৃপক্ষের যথাযথ, সময় উপযোগী কার্যকর ব্যবস্থা ছিল না। নিরাপত্তার বিষয়টি জোড়ালো না হওয়ায় সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এই দ্বিতীয় বারের মতো হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জমির মাটি কাটার সময় অপটিক্যাল ক্যাবলের পাওয়ার ক্যাবলটি কেটে যায়।

আরও পড়ুন : জয়ের রূপকল্পেই ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী

উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মৎস্যবন্দর আলীপুরের পূর্বাংশের কোল্ড স্টোরেজ পয়েন্ট থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা জমির মাটি কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে রক্ষা পায় ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেট সার্ভিস সরবরাহকৃত ফাইভার অপটিক্যাল ক্যাবলটি।

বৈদুতিক ক্যাবলটি কেটে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ণ ইউরোপের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) সঙ্গে দ্রুত ইন্টারনেট সার্ভিস বিপর্যস্ত হয়ে পরে। দীর্ঘ এই ১৩ ঘণ্টা পর ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হয়।

এব্যাপারে দ্বিতীয় সাবমেরিণ ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রের অস্বাবাবিক ঢেউ এবং স্রোতের কারণে কুয়াকাটা সৈকতের অস্বাভাবিক বালু ক্ষয় হয়েছে।

এমনকি বালু ক্ষয়ের কারণে বহু গাছ পালা সৈকতে উপড়ে পরেছে। বালু সড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট বেন্ডউইথ-এর সঞ্চালন প্রটেকশন ক্যাবল বের হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সমুদ্রের জোয়ারের পানি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় বের হওয়া ১০ থেকে ২০ ফুট ক্যাবল এলাকা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আবদ্ধ করেছি। ২০ ঘণ্টা পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার সাগরে ভাটার সময় যথাযথভাবে ক্যাবল রক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে।