আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পানামা খাল দখলের হুমকির পরই প্রথম বিদেশ সফরে পানামায় গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে রুবিও এ সফর শুরু করেছেন। অঞ্চলটিতে উত্তেজনার মাঝে রুবিও এ সফর করছেন। শনিবার পানামা সফরের পর তিনি যাবেন গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, কোস্টা রিকা এবং ডমিনিকান রিপাবলিকেও।
আলোচ্যসূচিতে থাকবে অভিবাসন, চীনের আধিপত্য কমানো, মাদক বিশেষ করে ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকানোর মতো বিষয়গুলো। পানামা সফরকালে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি পানামা খাল নিয়ে আলোচনাও অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
ট্রাম্প গত মাসে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ভাষণেই পানামা খাল পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে পানামা খাল পানামার কাছে হস্তান্তর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার তিনি ফের তার অবস্থান নিশ্চিত করেন। পানামা খাল দখলে সামরিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাও ট্রাম্প নাকচ করননি। তার যুক্তি, পানামা খালের আশপাশের বন্দরগুলোতে চীনকে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে পানামা।
পানামা এই খাল ঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে ট্রাম্প দাবি করেছেন। রোববার পানামা সফরকালে রুবিওর এই জলপথ পরিদর্শন এবং পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
পানামা প্রেসিডেন্ট মুলিনো গত সপ্তাহে পানামা খাল নিয়ে আলোচনা নাকচ করলেও রুবিও বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প হয়ত সামরিক শক্তি ব্যবহার করে পানামা খাল নিতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। বরং এর পরিবর্তে আরেকটি চুক্তি করতে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু করতে পারেন। পানামা খাল দিয়ে পরিবহণ করা আমেরিকান পণ্যে কম ফি দেওয়া কিংবা অভিবাসন প্রশ্নে পানামার কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা নিতে পারেন তিনি।