Dhaka শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের বর্ণনায় সিনহা হত্যার দৃশ্য

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০
  • ২৮১ জন দেখেছেন

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার সময় কি ঘটেছিলো সে বর্ণনা এবার উঠে এলো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের মুখে।

সিফাত জানান, শামলাপুর চেকপোস্টে এপিবিএন ছেড়ে দিলেও কিছু দূর যাওয়ার পর ড্রাম ফেলে তাদের পথরোধ করে টেকনাফ থানা পুলিশ। সিফাতের দাবি, হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন সিনহা।

সময়টা ছিল গত ৩১ জুলাই, কক্সবাজার শামলাপুর চেকপোস্ট। দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যদের তল্লাসি চৌকিতে গাড়ি থামান মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ খান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা ছেড়ে দিলেও কিছু দূরে ড্রাম ফেলে পথ রোধ করে টেকনাফ থানা পুলিশ।

সিনহা হত্যার ঘটনার বর্ণনায় শুরুটা এমনই ছিলো সিনহা হত্যার সাক্ষী সিফতের মুখে।

আরও পড়ুন : মসজিদের ইমামের বর্ণনায় সিনহা হত্যাকাণ্ড রাতের ভয়ানক দৃশ্য

সিফাত জানান, আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিলো; সম্ভবত এটা তারা ভুল বুঝতে পারে। গাড়িতে নামার সময় আমাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিলো না।
গাড়ি থেকে নামতেই গুলির শব্দ, তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য। যেন কল্পনাকেও হার মানায় সেদিনের ঘটনা।

সিফাত বলেন, উনি (সিনহা) নামার সময়ে দুই হাত উঁচু করে নামেন। এরপর আমি পিছনে চলে যাই। কিন্তু গাড়ির কারণে আমি আর কিছু দেখতে পারি নাই। যখন নামেন তখন কাল্ম ডাউন, কাল্ম ডাউন আওয়াজ শুনতে পাই।

যে অফিসার বন্দুক তাক করেছিলেন, তিনি বলছিলেন। এরপর গুলির শব্দ শুনি। পরে দেখি সিনহা সাহেব শুয়ে পড়েন; আমি ভাবছি; হয়তো উনার শরীরে গুলি লাগেনি। ফাঁকা আওয়াজ হয়েছে। তারপর দেখি উনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

সিফাতের দাবি, সিনহার ব্যক্তিগত অস্ত্রটিও ছিলো গাড়িতে, সিনহা নেমেছিলেন হাত উঁচু করেই।

সেদিনের পুরো ঘটনার সাক্ষী সিফাত গত ১০ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। যদিও পুরো ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরতে ক্ষানিকটা সময়ও চেয়েছেন সিনহার সঙ্গী সিফাত ও শিপ্রা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক ৭

প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের বর্ণনায় সিনহা হত্যার দৃশ্য

প্রকাশের সময় : ০৫:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার সময় কি ঘটেছিলো সে বর্ণনা এবার উঠে এলো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের মুখে।

সিফাত জানান, শামলাপুর চেকপোস্টে এপিবিএন ছেড়ে দিলেও কিছু দূর যাওয়ার পর ড্রাম ফেলে তাদের পথরোধ করে টেকনাফ থানা পুলিশ। সিফাতের দাবি, হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন সিনহা।

সময়টা ছিল গত ৩১ জুলাই, কক্সবাজার শামলাপুর চেকপোস্ট। দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যদের তল্লাসি চৌকিতে গাড়ি থামান মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ খান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা ছেড়ে দিলেও কিছু দূরে ড্রাম ফেলে পথ রোধ করে টেকনাফ থানা পুলিশ।

সিনহা হত্যার ঘটনার বর্ণনায় শুরুটা এমনই ছিলো সিনহা হত্যার সাক্ষী সিফতের মুখে।

আরও পড়ুন : মসজিদের ইমামের বর্ণনায় সিনহা হত্যাকাণ্ড রাতের ভয়ানক দৃশ্য

সিফাত জানান, আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিলো; সম্ভবত এটা তারা ভুল বুঝতে পারে। গাড়িতে নামার সময় আমাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিলো না।
গাড়ি থেকে নামতেই গুলির শব্দ, তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য। যেন কল্পনাকেও হার মানায় সেদিনের ঘটনা।

সিফাত বলেন, উনি (সিনহা) নামার সময়ে দুই হাত উঁচু করে নামেন। এরপর আমি পিছনে চলে যাই। কিন্তু গাড়ির কারণে আমি আর কিছু দেখতে পারি নাই। যখন নামেন তখন কাল্ম ডাউন, কাল্ম ডাউন আওয়াজ শুনতে পাই।

যে অফিসার বন্দুক তাক করেছিলেন, তিনি বলছিলেন। এরপর গুলির শব্দ শুনি। পরে দেখি সিনহা সাহেব শুয়ে পড়েন; আমি ভাবছি; হয়তো উনার শরীরে গুলি লাগেনি। ফাঁকা আওয়াজ হয়েছে। তারপর দেখি উনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

সিফাতের দাবি, সিনহার ব্যক্তিগত অস্ত্রটিও ছিলো গাড়িতে, সিনহা নেমেছিলেন হাত উঁচু করেই।

সেদিনের পুরো ঘটনার সাক্ষী সিফাত গত ১০ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। যদিও পুরো ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরতে ক্ষানিকটা সময়ও চেয়েছেন সিনহার সঙ্গী সিফাত ও শিপ্রা।